Advertisement
E-Paper

বাবা-মায়েদের ৫টি স্বভাবে পরিবর্তন প্রয়োজন, অন্যথায় সন্তানের মনোবল হ্রাস পেতে পারে

সন্তানকে বড় করতে গিয়ে বাবা-মায়েদের নানা চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়। সন্তানের মনোবল অটুট রাখতে কখনও কখনও নিজের স্বভাবেও পরিবর্তন করা উচিত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৭
5 parenting habits that can damage your child’s confidence

প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।

সন্তান প্রতিপালন সহজ নয়। সন্তানকে বড় করে তোলার প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে দিয়ে বাবা-মায়েদের অগ্রসর হতে হয়। চলার পথেই শিখতে হয়। ভুল থেকে শিক্ষাও নিতে হয়। তাই ছোটদের বড় করে তোলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়। বাবা-মায়েদের এ জন্য কয়েকটি অভ্যাস থেকে দূরে থাকা উচিত। পেরেন্টিং কনসালট্যান্টদের একাংশ এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিশেষ লক্ষণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

১) স্নেহের অভাব: অনেক সময়েই সন্তানের প্রতি অভিভাবকেরা ইচ্ছাকৃত কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। তাঁদের মনে হয়, বেশি স্নেহের প্রকাশ ঘটলে সন্তান হয়তো বিষয়টিকে লঘু ভাবে নেবে। এই স্বভাব কয়েকটি ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। কিন্তু সর্বদা এই ধরনের মানসিকতা সন্তানের মধ্যে ঘৃণার জন্ম দিতে পারে। সে একাকিত্বে ডুবে যেতে পারে। একই সঙ্গে তার মনোবলও কমে যেতে পারে।

২) অন্যের সঙ্গে তুলনা: অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে নিজের সন্তানের প্রতিনিয়ত তুলনা ক্ষতিকারক। এই ধরনের অভ্যাস সন্তানের মনোবল নষ্ট করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তুলনা টানলেও নিজের সন্তানকে তার ভুলগুলি খোলা মনে বোঝানো উচিত। তার ফলে সে সহজেই ভুল শুধরে নিতে পারবে।

৩) সুরক্ষার বেড়াজাল: অনেকেই সন্তানকে সব সময়ে আগলে রাখতে চান। এই ধরনের পরিবারে বাচ্চাদের চলাফেরার উপরেও নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তার কারণে এই ধরনের পদক্ষেপ করে থাকেন। কিন্তু তা পরোক্ষে সন্তানের মনোবল ভেঙে দেয়। তার মধ্যে ক্ষেভের জন্ম হয়। নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাধীনতার মধ্যে তাই সমতা বজায় রাখা উচিত।

৪) মতামতের গুরুত্ব: ছোটদের মতামত যে সব সময় প্রাধান্য পাবে, তেমন নয়। কিন্তু তাদের কথা শুনলে, ছোটদের মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। বাবা-মায়েরা যদি তাদের মতামতকে হেয় করেন, তা হলে তা সন্তানের মনোবল ভেঙে দিতে পারে।

৫) বাঁধনহীন প্রত্যাশা: প্রায় প্রত্যেক বাবা-মা-ই সন্তানের থেকে অধিক প্রত্যাশা করেন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবকেও বুঝতে হবে। ধরা যাক, সন্তান পায়ে চোট পেয়েছে। এমতাবস্থায় সে স্কুলের টিমে ফুটবল না-ও খেলতে পারে। কিন্তু অভিভাবকের অযৌক্তিক প্রত্যাশা তার মনোবল দুর্বল করে দিতে পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে সন্তান অবসাদে ডুবে যেতে পারে।

child childhood Teenage Parenting Life Changing Habits Relationship Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy