বাড়িতে নতুন পোষ্য এসেছে। প্রথমে সে একটু ভীত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে দেখা যায়, সারমেয় বাড়ি জুড়ে দৌরাত্ম্য শুরু করেছে। এমনকি বললে ভুল হয় না যে, বাড়িতে পোষ্যই এক সময় ‘কর্তা’ হয়ে উঠতে পারে। সময় থাকতে সাবধান না হলে সে আর কথা শোনে না। পোষ্যের দৈনন্দিন রুটিনও বাড়ির সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পোষ্য যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে কয়েকটি লক্ষণ সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:
১) সারা দিনে পোষ্য দু’বার খাবার খায়। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায়, পোষ্যের সুবিধার জন্য পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের দুপুর বা রাতের খাবারের সময় পরিবর্তন করছেন। নেপথ্যে থাকে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন, এই সিদ্ধান্ত।
২) পোষ্য যদি শোয়ার ঘরে ঘুমোতে শুরু করে বা সারা ক্ষণ বিছানা দখল করে থাকে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। ২০২২ সালে ‘পেট এমডি’তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ৪৩ শতাংশ পোষ্য বাড়িতে মনিবের বিছানায় ঘুমোয়।
৩) সারমেয়দের ঘুমোতে যাওয়া বা ঘুম থেকে ওঠার চক্র মানুষের মতো নয়। তারা মানুষের থেকে আগে ঘুম থেকে উঠতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে তারা আশা করে, বাড়ির বাকিরাও তাদের সঙ্গে ঘুম থেকে উঠবেন। এই অভ্যাস তৈরি না করাই ভাল।
৪) বাড়িতে পোষ্যেরা অনেক সময়েই টিভিতে কার্টুন দেখতে পছন্দ করে। তাদের পছন্দের অন্য কনটেন্টও থাকতে পারে (যেমন, পশু-পাখির ভিডিয়ো)। কিন্তু বাড়িতে অন্যেরা কোনও কনটেন্ট দেখলে, পোষ্য যদি জেদ করে নিজের পছন্দের কনটেন্ট দেখতে চায়, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত।
৫) বাড়িতে শুধু বিছানা নয়, সোফা, কার্পেট বা অন্য আসবাবে পোষ্য যদি তার কর্তৃত্ব ফলাতে চায়, তা হলেও সতর্ক হতে হবে। বিছানা, গদি, পর্দা বা পোশাক যদি সে ছিঁড়ে কুটিকুটি করে, তা হলে বুঝতে হবে, সে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।