Advertisement
E-Paper

কৈশোরে সন্তানের ‌অবসাদের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, নেপথ্যে দায়ী হতে পারে তার একটি বিশেষ অভ্যাস

ছোটদের অবসাদের নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় একটি বিশেষ কারণের দিকে নির্দেশ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১১:২১
A new study suggests that common habits like using social media can make kids depressed

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

বড়দের মতো ছোটরাও অবসাদের শিকার হতে পারে। কিন্তু অনেক সময়েই অভিভাবকেরা তা বুঝতে পারেন না। কৈশোরে পা দেওয়ার আগে থেকেই ছোটদের মনে নানা কারণে চাপ তৈরি হতে পারে। অভিভাবকেরা অনেক সময়েই সন্তানের অবসাদ শনাক্ত করতে পারলেও নেপথ্য কারণ অনুসন্ধান করতে পারেন না।

ছোটদের অবসাদের নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে। পড়াশোনার চাপ, কটাক্ষ বা কৈশোরকালে দেহে হরমোনের তারতম্য। তবে ছোটদের অবসাদের নেপথ্যে এমন একটি কারণকে গবেষকেরা চিহ্ণিত করেছেন, যার উপর অনেক সময়েই গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

কী দাবি

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের একদল গবেষক ছোটদের অবসাদ নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। ‘জামা নেটওয়ার্ক’ জার্নালে তা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, কৈশোরে পা দেওয়ার আগের বছরগুলিতে ছোটদের অবসাদের জন্য দায়ী সমাজমাধ্যম।

গবেষকেরা জানতে চেয়েছিলেন, সমাজমাধ্যমের কারণেই ছোটরা অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছে, না কি অবসাদে আক্রান্তেরা বেশি সমাজমাধ্যম ব্যবহার করছে। তার জন্য গবেষকেরা তিন বছর ধরে ১২ হাজার ছেলেমেয়েদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।

সমাজমাধ্যম এবং কিশোর

মজার বিষয়, গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে অনেক কিশোর অবসাদে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা কিন্তু বেশি সমাজমাধ্যম ব্যবহার করেনি। জানা গিয়েছে, প্রথম বছরে যে কিশোরেরা দিনে ৭ মিনিট সমাজমাধ্যম ব্যবহার করত, দ্বিতীয় বছরে তা ৭৩ মিনিটে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্বিক ভাবে তা ছোটদের অবসাদের আশঙ্কা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। অধ্যাপক জেসন নাগাটা বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি যে সমাজমাধ্যমের ক্রমাগত ব্যবহার কৈশোরের প্রাক্কালে ছোটদের অবসাদের অন্যতম কারণ।’’

কিন্তু সমাজমাধ্যম কেন ছোটদের অবসাদের কারণ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকের অনুমান ‘সাইবার বুলিং’ এবং ক্রমাগত সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ফলে অনিদ্রা ছোটদের অবসাদের কারণ হতে পারে। এই প্রসঙ্গে ‘দ্য ল্যানসেট রিজিয়োনাল হেল্‌থ’ জার্নালে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণাপত্র তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ১১ থেকে ১২ বছরের শিশুদের মধ্যে যাঁরা সমাজমাধ্যমে নিয়মিত কটাক্ষের শিকার হয়েছে, তারা একজন সাধারণ শিশুর তুলনায় ২.৬২ শতাংশ বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ মানসিকতার কথা ব্যক্ত করেছে।

কী করা উচিত

‘দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স’ এই প্রসঙ্গে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাদের মতে, কৈশোরে প্রবেশের আগে ছোটদের মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। তার জন্য বাবা-মায়েদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে নিতে হবে। প্রয়োজনে ছোটদের শেখানোর জন্য বাবা-মায়েরাও বাড়িতে মোবাইলের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ছোটদের সমাজমাধ্যমের নেতিবাচক দিকগুলি নিয়ে সতর্ক করতে পারলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।

Parenting Tips Mindful Parenting Social Media Abuse teenagers Mental Depression New Research
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy