বেকারত্ব নিয়ে হতাশা স্বাভাবিক। স্বোপার্জিত অর্থ হাতে না থাকলে অনেকে আত্মবিশ্বাসের অভাবেও ভোগেন। কিন্তু সে তো ছাপোষা সাধারণ মানুষের মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়। যাঁর বাবা বলিউডের তিন খানের এক জন, যাঁর বাবা অভিনয় এবং পরিচালনার নৈপুণ্যে সমালোচকদের কাছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট তকমা পেয়েছেন, সেই আমির খানের কন্যা ইরা খানেরও কি এমন মনে হতে পারে?
বলিউডের তারকাসন্তান বা স্টারকিডদের জীবনের যে সমস্ত ঝলক দেখা যায়, তাতে বাইরে থেকে হতাশার ছাপ তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। অধিকাংশই বয়স ১৬-১৭ না পেরোতেই বাবা-মায়ের বন্ধু পরিচালকদের হাত ধরে পা রাখেন রুপোলি জগতে। ব্যতিক্রম নেই তা নয়। তবে তা হাতে গুনে বলা যায়। দেখা গেল ইরাও সেই কতিপয় ব্যতিক্রমীদেরই তালিকাভুক্ত। তিনি বাবার পেশায় আসেননি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর জীবনে বেকারত্ব নিয়ে হতাশাও রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে ইরা বলেছেন, ‘‘আমার বয়স এখন ২৬-২৭। আমার বাবা-মা আমার উপর বিপুল পয়সা খরচ করেছেন। আর আমি কিছুই করতে পারছি না। একটি আদ্যোপান্ত বেকার মানুষ আমি।’’
আমির-কন্যা ইরা একটি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। ‘আগাতসু’ নামের ওই সংগঠনের সিইও তিনি। তা হলে কেন নিজেকে বেকার বলছেন ইরা? জবাব দিয়েছেন আমির। মেয়ের কথার ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, ‘‘আসলে ও বলতে চাইছে, ও অর্থ উপার্জন করছে না।’’ একই সঙ্গে অভিনেতা তাঁর কন্যাকে শিখিয়েছেন, কেন অর্থোপার্জনকেই জীবনের শেষকথা বা মোক্ষ ভাবা উচিত নয়!
আমির তাঁর কন্যাকে বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ মানুষকে সাহায্য করেন আর তার বিনিময়ে মূল্য নেন। কিন্তু আমি যদি কাউকে সাহায্য করি, কারও কোনও কাজে লাগি, তবে আমি তার বিনিময়ে মূল্য নিলাম কি না সেটা বিষয় নয়। বিষয় হল আমি কাউকে সাহায্য করতে পারছি। কারও দরকারে কাজে লাগতে পারছি। সেটাই যথেষ্ট।’’
বিষয়টি ব্যখ্যা করে আমির বলেছেন, ‘‘তুমি এত মানুষের জন্য কাজ করছ, তাদের সাহায্য করছ, বাবা হিসাবে এটাই আমার কাছে গর্বের বিষয়। তুমি অর্থোপার্জন করছ কি না, সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তুমি ভাল কাজ করছ কি না সেটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।’’