Advertisement
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Relationship

প্রেমিক অন্য কারও সঙ্গে ‘ঘর’ বাঁধতে চলেছেন, হাসিমুখেই তা মেনে নিলেন প্রেমিকা, কেন?

কিছু দিন একত্রবাসের পর হঠাৎই অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রেমিকের। কিন্তু তাতে সম্পর্কে ভাটা প়ড়েনি। প্রেমিকাও সবটাই মেনে নিলেন হাসিমুখে। কিন্তু কেন?

Symbolic image.

হাসিমুখেই প্রেমিককে যেতে দিলেন প্রেমিকা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৮
Share: Save:

প্রেমের সম্পর্কের মেয়াদ বছর তিনেক। আড়াই বছরের মাথায় এসে দু’জনে ঠিক করেন, একসঙ্গে থাকবেন। তবে বিয়ে করে নয়, একত্রবাসের পরিকল্পনা ছিল দু’জনের। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। ফিলিপিন্সের বাসিন্দা মাহিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জন একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। প্রেম, খুনসুটি, ভালবাসা, অভিমান— রূপকথার মতো দিন কাটাচ্ছিলেন দু’জনে।

হঠাৎই ছন্দপতন। জন মাহিয়াকে জানান, তিনি অন্যত্র থাকতে চান। প্রথমে এটা শুনে আকাশ ভেঙে পড়েছিল মাহিয়ার মাথায়। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে প্রিয়জনদের ছেড়ে ভালবাসার মানুষের হাত ধরেছিলেন। পাকাপাকি ভাবেই হাত ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভালবাসার মানুষের কাছ থেকেই এমন প্রত্যাখ্যান পেয়ে সাময়িক ভাবে খানিক ভেঙে পড়েন তিনি। তবে আসল সত্যিটা জানার পর অবশ্য সামলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জনের পরিকল্পনা বাস্তবে পরিণত করতে তিনিও সাহায্য করেন।

সঙ্গীহীন থাকা যন্ত্রণার। তা-ও কোনও কারণ ছাড়াই এমন বিচ্ছেদ মেনে নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু মাহিয়া এত সহজে এবং হাসিমুখে কী ভাবে সবটা মেনে নিতে পারলেন, তা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে পড়েছিলেন তাঁর কাছের মানুষেরা। এক জায়গা থেকে জন.যাতে অন্যত্র যেতে পারেন তার জন্য হাতে হাতে সাহায্যও করেন তিনি। অনেকেরই মনে হয়েছে, মনে দুঃখ চেপে রেখেই সবটা হাসিমুখে সামলাচ্ছেন। মনের যন্ত্রণা কিছুতেই প্রকাশ পেতে দেবেন না বলেই পণ করেছেন তিনি। বিচ্ছেদের পরেও মাহিয়ার দুঃখ না পাওয়া দেখে বাকিরা যখন এক প্রকার শোকাকুল, ঠিক সেই সময় সত্যিটা খোলসা করলেন তিনি। মাহিয়া বন্ধুবান্ধব, পরিবার, প্রিয়জনদের উদ্দেশে লেখেন, “আমি আর জন এখন থেকে আর এক সঙ্গে থাকব না। আমাদের এই ছোট্ট সংসারে ইতি টানছি, তবে সম্পর্কে নয়। আমরা সম্পর্কে ছিলাম এবং আছি। তবে জন ওর ভাইয়ের সঙ্গে থাকতে যাচ্ছে। জনের অনেক দিনের স্বপ্ন, ভাই বড় হয়ে যাওয়ার পর দু’জনে একসঙ্গে থাকবে। আর আমি সেই স্বপ্নপূরণে সাহায্য করতে চাই। সেটাই করছি। এক সঙ্গে না থাকলেও আমাদের প্রায়ই দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE