শেষ পর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখে অপরাধীকে ধরতে বিয়ের ফাঁদ পাতল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
দুষ্কৃতীকে ধরতে পুলিশকে নানা ফাঁদ পাততে হচ্ছে, সিনেমার পর্দায় প্রায়ই এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে শুধু বড় পর্দা নয়, দুষ্কৃতীকে কব্জায় আনতে বাস্তবেও পুলিশকে নানা ফন্দি আঁটতে হয়। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও দাগী দুষ্কৃতীকে ধরতে পারছিল না মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখে অপরাধীকে ধরতে বিয়ের ফাঁদ পাতল পুলিশ।
বালকিষণ চৌবে নামে ওই দুষ্কৃতী ষোলোটি ঘটনায় অভিযুক্ত। তাঁর মাথার দাম ধার্য হয়েছে ১০ হাজার। কিন্তু কোনও চেষ্টাই কাজে আসেনি। তাই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে হয়েছে পুলিশকেই। বিভিন্ন সূত্র মারফত পুলিশের কানে এসেছে, বালকিষণ নিজের জন্য বৌ খুঁজছেন। বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই খবরে হাতে যেন চাঁদ পায় পুলিশ দফতর। ঠিক হয়, এক জন মহিলা পুলিশকর্মীকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেই মতো দিল্লির একটি সিমকার্ড দিয়ে ওই মহিলা পুলিশকর্মী এক দিন বালকিষণকে মিসড্ কল দেন। কিছু ক্ষণ পর বালকিষণ ঘুরিয়ে ওই নম্বরে ফোন করেন। মহিলা পুলিশকর্মী বালকিষণকে জানান, ভুল করে ফোন চলে গিয়েছে। কিন্তু বালকিষণ প্রথমে তা বিশ্বাস করেননি। পরে নম্বর যাচাই করে দেখে তিনি আশ্বস্ত হন। তার কয়েক দিন পর তিনি নিজেই ওই নম্বরে আবার ফোন করেন। তার পর থেকেই দু’জনে নিয়ম করে কথা বলতে শুরু করেন। কিছু দিনের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে একটা বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। পরিকল্পনা মতো পুরোটা এগোনোয় আর বেশি দেরি করতে চায়নি পুলিশ। তাই মোক্ষম চালটি চালেন।
বালণকিষণ যে তাঁর প্রেমে পড়েছেন, তা বেশ বুঝতে পারেন ওই পুলিশকর্মী। তাই সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। বালকিষণও সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাবে রাজি হন। ঠিক হয়, স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করবেন দু’জনে। সেই মতো নির্ধারিত দিনে বিয়ে করবেন বলে মন্দিরে আসেন বালকিষণ। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল পুলিশ। বালকিষণ মন্দিরে ঢুকতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত বালকিষণকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জেরা করার পর কোর্টে তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy