পোষ্যের প্রাণচাঞ্চল্য যতটা উপভোগ্য, ঠিক ততটাই বিরক্তিকর তার গা থেকে যদি বোটকা গন্ধ বের হয়। পরিচ্ছন্নতার অভাবে এমনটা হতেই পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাকে স্নান করানো, শ্যাম্পু করালে এমন সমস্যা থাকে না। তবে বা়ড়িতে অতিথি এলে বা পোষ্যকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে, তার শরীরে দিতে পারেন সুগন্ধীও। মানুষের ব্যবহার্য সুগন্ধী নয়, এগুলি বিশেষ ভাবে তৈরি সারমেয়দের জন্যই। কিন্তু বাজারচলতি সুগন্ধীর মধ্যে কোনটি ভাল, কোনটি নয়, বুঝবেন কী ভাবে? পোষ্যের উপযোগী কোনটি হবে? পাউডার, স্প্রে, রোল-অন— তিন ধরনের সুগন্ধী মেলে।
প্রাকৃতিক উপকরণ: সুগন্ধীতে কোন উপকরণ রয়েছে তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। অনেক সুগন্ধীতে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার হয়। এছাড়াও কোনও কোনও সুগন্ধীতে ভিনিগার, লেবু, ভেষজের ব্যবহার হয়। আবার কোনও সুগন্ধীতে থাকে রাসায়নিক উপাদানও। কৃত্রিম উপকরণের চেয়ে দামি হলেও প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ সুগন্ধী বেছে নেওয়া ভাল।
আরও পড়ুন:
গন্ধ বাছাই: যদি পোষ্যের গায়ে গন্ধ বেশি হয়, তা হলে এমন সুগন্ধী বাছাই করতে পারেন, যার স্থায়িত্ব বেশি। গন্ধও একটু কড়া হয়। পুদিনা, লেবু, পুদিনা এমন কোনও গন্ধ বেছে নিতে পারেন।
অ্যালার্জি: সুগন্ধীতে ব্যবহৃত কোনও উপাদানে পোষ্যের অ্যালার্জি রয়েছে কি না বোঝা প্রয়োজন। আগে থেকে জানা না থাকলে খুব স্বল্প ব্যবহার করে দেখতে পারেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বা গন্ধ সে অপছন্দ করছে কি না। যদি সারমেয় কোনও রকম অস্বস্তি বোধ না করে, তবেই সুগন্ধী প্রয়োগ করা দরকার।
নিয়মিত সুগন্ধী প্রয়োগ করা ঠিক নয়। বরং পশুরোগ চিকিৎসকেরা পোষ্যের গায়ের গন্ধ দূর করতে স্নান, পরিচ্ছন্নতার উপরেই জোর দেন। সুগন্ধী কী ভাবে প্রয়োগ করতে হবে, সে বিষয়ে যে সংস্থার পণ্য কিনছেন, তাদের নির্দেশকা থাকলে মেনে চলা প্রয়োজন। দরকারে পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।