স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খেলার মাঠ, বন্ধুদের সঙ্গে ছোটাছুটি— এ সব এখন হারাতে বসেছে। বরং স্কুল-পড়াশোনার বাইরে বাড়ির চৌহদ্দিতেই বন্দি খুদেরা। চিকিৎসকেরা বলেন, বেড়ে ওঠার সময় খেলাধূলা জরুরি। ছোটাছুটি, খেলাধুলা শিশুদের হাড়-এবং পেশি সবল হতে সাহায্য করে।
কিন্তু সন্তান খেলবে কোথায়? খেলার মাঠ নেই। সঙ্গীর অভাব। সন্তানের জন্য বাড়িতে আনতে পারেন এমন জিনিস, যা শিশুকে খেলতে এবং শরীরচর্চায় উৎসাহ জোগাবে। একই সঙ্গে খুদে পাবে রোমাঞ্চের স্বাদ।
আরও পড়ুন:
একটি দড়ির দোলনা: এক সময় ছোট ছোট ছেলেরা পুরনো গাড়ির টায়ারে দড়ি বেঁধে দোলনা করে ঝুলত। এটিও কিছুটা সেই রকম। তবে টায়ার নয়, এতে বসার জন্য গোলাকার আসন থাকে। চেয়ারের মতো দড়ির দোলনা ছাড়াও এখন ছোটদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোলনা পাওয়া যায়, যা ‘টারজান’ বা ‘মোগলি’-র মতো চরিত্রেরা যে ভাবে গাছে ঝুলত, খানিকটা হলেও তেমন অনুভূতি দেবে। বসার জায়গার মাঝে একটাই দড়ি থাকে। সেখানে বসে খুদেরা দড়িটা দু’হাতে আঁকড়ে ধরে ঝুলতে পারবে।
ট্র্যাপিজ় সুইং বার: সার্কাসে ট্রাপিজ়ের খেলা আজও দেখ যায়। দড়ির সাহায্যে দুলে নানা রকম শারীরিক কসরত দেখানো হত। খুদের জন্যও এমন কিছু বাড়িতে আনতে পারেন। ঘর, বারান্দা, বা উঠোন যে কোনও জায়গায় সেট করা যায়। এতে দু’হাতে ধরে ঝোলার জন্য হাতল থাকে, থাকে একটি বারও। যেখান থেকে তারা ঝুলতে বা বারের উপর বসতেও পারবে। এই ধরনের খেলা করতে করতেই তাদের হাত এবং পায়ের পেশির জোর বাড়বে।
দড়ির মই: ঘর হোক বা বারান্দা কিংবা বাগান— দড়ির মই ঝুলিয়ে দিতে পারেন যে কোনও জায়গায়। খেয়াল রাখতে হবে, সেটি যেন শক্তপোক্ত হয় এবং সঠিক কায়দায় আটকানো হয়। দড়ির মইতে ওঠা, দোলা— এমন অনেক কিছুই করতে পারবে ছোটরা।