তুমি সুখে থেকো, মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীকে বলেন স্বামী। —ফাইল চিত্র
নিজে মৃত্যুশয্যায়, তবু আমেরিকার বাসিন্দা বব ফগানের মাথায় ঘুরত একটাই চিন্তা। কী ভাবে ভাল থাকবেন স্ত্রী ডায়ারড্রি ফগান। তিনি চলে গেলেও যাতে স্ত্রী একা বোধ না করেন, তা নিশ্চিত করতে মারা যাওয়ার আগেই ডায়ারড্রিকে প্রেমিক খুঁজে দিয়ে যান বব। এমনই জানালেন তাঁর স্ত্রী ডায়ারড্রি।
ডায়ারড্রি ও বব একসঙ্গেই অ্যালবানি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সেই আলাপই পরে বিয়েতে গড়ায়। দুই সন্তানও হয় দু’জনের। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাত। ৪৩ বছর বয়সে ‘অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরল স্ক্লেরোসিস’ নামের এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন বব। মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের এই মারণরোগে ফুরিয়ে আসতে থাকে আয়ু। চিকিৎসকেরা জানান, হাতে এক বছরও সময় নেই। ডায়ারড্রি জানিয়েছেন, এ যেন পথ দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার মতো বিষয়। স্বামীর কষ্টে দিশেহারা হয়ে তিনি নিজেকে ডুবিয়ে দেন ধূমপান ও মদের নেশায়। ছেড়ে দেন খাওয়াদাওয়া।
যত দিন যাচ্ছিল, ততই কমে আসছিল ববের নড়াচড়া করার ক্ষমতা। এমনকি, বন্ধ হয়ে আসছিল কথাও। সেই অবস্থাতেই বব স্ত্রীকে অনুরোধ করেন, নতুন কোনও সঙ্গী খুঁজে নিতে। জানান, ভালবাসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর স্ত্রীর। তা ছাড়া সন্তানদেরও বাবার মতো কাউকে প্রয়োজন। ডায়ারড্রির সঙ্গে একই অফিসে ডেভ নামের এক ব্যক্তি কাজ করতেন। অকৃতদার ডেভ স্ত্রীর খুবই ভাল বন্ধু, এ কথা জানতেন বব। মৃত্যুশয্যাতেই বব স্ত্রীকে প্রস্তাব দেন, তিনি যেন ঘর বাঁধেন ডেভের সঙ্গে। স্বামীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি ডায়ারড্রি। ডেভকেই ভবিষ্যতের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেন। শেষের দিনগুলিতে ডেভও এগিয়ে এসেছিলেন দম্পতিকে সাহায্য করতে। শেষ পর্যন্ত ববের মৃত্যুর পরই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডায়ারড্রি ও ডেভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy