পোষ্যের ভাষা যদি তার মনিব জানতে পারতেন, তা হলে মন্দ হত না! কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। তবে ল্যাজ নাড়লেই যে পোষ্য আনন্দে রয়েছে, তা কিন্তু নয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সারমেয় সুখী কি না, তা কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
১) বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মতো পোষ্যদের ন্যূনতম কিছু জিনিস প্রয়োজন। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া, বাড়িতে সুস্থ পরিবেশ, অসুস্থ হলে চিকিৎসা— সারমেয়র সুখী হওয়ার নেপথ্যে আবশ্যিক শর্ত।
২) পোষ্য যদি সুখী হয়, তা হলে তার শারীরিক ভঙ্গি থেকে তা বোঝা যায়। তা হবে নমনীয়। শারীরিক ওজনও সমান ভাবে বিন্যস্ত হতে হবে। সারমেয় সুখী না হলে বেশির ভাগ সময়েই সে বাড়ির এক কোণে বসে থাকে। পোষ্য আনন্দে থাকলে তার মুখের অভিব্যক্তিও বদলে যায়।
৩) পোষ্যের দিনপঞ্জি নিয়ম মেনে তৈরি করা উচিত। পোষ্যের রুটিন বদলে গেলে তার সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। বাড়ির সদস্যেরা ভ্রমণে গেলে বা নিত্যদিনের কাজ সেরে দেরিতে বাড়ি ফিরলে পোষ্যের মন বিচলিত হয়। তাই পোষ্যের দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন হলে ধীরে ধীরে তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
৪) অনেকেই পোষ্যদের নিয়মিত হাঁটাতে নিয়ে যান না। আবার পোষ্যদের দৌড়ঝাঁপ না করালে তাদের মন ভাল থাকে না। অনেক সময়ে বাড়িতে বসে থাকলে পোষ্যের ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
৫) বিভিন্ন পোষ্যের ব্যক্তিত্বের পার্থক্য রয়েছে। কেউ মিশুকে, আবার কেউ একটু চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। তার পছন্দ সম্পর্কে প্রতিবেশী বা অপরিচিত কোনও ব্যক্তিকে পরিবারকেই জানাতে হবে। যেমন কখন তাকে আদর করা সম্ভব বা কোন জিনিসটি সে অপছন্দ করে। পোষ্যের সামাজিক চলাফেরা সুরক্ষিত না হলে তারা সুখী না-ও হতে পারে।