‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে’। কে কখন কার প্রেমে পড়বেন, বলা মুশকিল। চিরকালই নিষিদ্ধ প্রেমের হাতছানিতে সাড়া দিয়েছেন বহু পুরুষ এবং মহিলা। অনেকে মনে করেন, বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব থেকেই পরকীয়া সম্পর্কের দিকে এগোন মানুষ। মানসিক দূরত্বের পাশাপাশি শারীরিক ভাবে অপূর্ণতা থেকেও পরকীয়া সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন মানুষ। তাই এই নিয়ে রাখঢাক অনেক বেশি। আবার পরকীয়া নিয়ে গল্প-সিনেমা যত তৈরি হোক, সমাজের চোখরাঙানিও অঢেল। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ বার যদি প্রশ্ন ওঠে দেশের কোন শহরের বাসিন্দারা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীকে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করেন, তা হলে হয়তো অধিকাংশেরই মাথায় ঘুরতে পারে মেট্রো শহরগুলির নাম। ২০২৫ সালে জুন মাসে ‘অ্যাসলে ম্যাডিসন’ নামক অনলাইন ডেটিং সার্ভিসের করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য।
ভারতের কোন শহরের মানুষ সবচেয়ে বেশি পরকীয়ায় জড়ান, এই সমীক্ষার একেবারে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম। যে কাঞ্চিপুরম সিল্ক শাড়ির জন্য জনপ্রিয়, সেই শহরই এখন পরকীয়ায় ‘ফার্স্ট বয়’। গত বছরের সমীক্ষায় যে শহরের নাম ছিল ১৭ নম্বরে, এ বছর সেই কাঞ্চিপুরমের নাম উঠে এসেছে তালিকার শীর্ষে।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী মেট্রো শহরগুলির মধ্যে দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন মানুষ। তালিকায় প্রথম ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, মধ্য দিল্লি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নাম। এর পার্শ্ববর্তী শহর নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজ়িয়াবাদও রয়েছে তালিকায়। সমীক্ষায় কলকাতার নাম রয়েছে ১৩ নম্বরে। এ ছাড়া পুনে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, লখনউ, হায়দরাবাদও রয়েছে তালিকায়।
‘অ্যাসলে ম্যাডিসন’-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতের ছোট শহরগুলিতে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের চাহিদা বাড়ছে। ভারতের টায়ার-২ শহরে বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।