মানুষের কেবল নয়, পোষা কুকুরও জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারে। দিনের পর দিন যদি কুকুরের শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়, তা হলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। জলশূন্যতা থেকে হিটস্ট্রোকও হতে পারে পোষা কুকুরের। তাই সবসময়েই চেষ্টা করতে হবে খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত জলও খাওয়াতে। শুধু তাই নয়, এমন খাবার খাওয়াতে হবে পোষ্যকে, যাতে তাতে শরীর আর্দ্র ও তরতাজা থাকে।
কী ভাবে বুঝবেন জলশূন্যতা হচ্ছে?
কুকুর প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়বে। সারা ক্ষণ ঝিমোতে থাকবে।
ওদের শরীরে প্রদাহ হতে পারে। চোখ-মুখ ফোলা দেখাবে।
ওজন কমতে থাকবে।
ঘন ঘন পেটের গোলমাল, বমি হবে।
প্রস্রাব কমে যাবে, খিদেও কম হবে।
আরও পড়ুন:
কী করণীয়?
প্রতি বার খাবার দেওয়ার সময়ে জলও দিতে হবে। দুটি মিলের মাঝেও জল খাওয়াতে হবে। পোষ্যের খাবার দেওয়ার আলাদা জায়গা করুন। সেখানে একটি পাত্রে সবসময়ে পরিষ্কার জল রাখবেন। ফিল্টার করা জল বা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে জল রাখলেই ভাল।
ডিটক্স জলও দিতে পারেন পোষ্যকে। ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে জলে দিয়ে রাখবেন। এতে জলের স্বাদ বাড়বে। পোষ্য বারে বারে গিয়েই সেই জল খাবে। এতে ওদের শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
পোষ্যকে তরমুজ দিতে পারেন। তবে বীজগুলি ফেলে দেবেন। তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশই জল। তরমুজে ভরপুর পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি থাকে। এটি পোষ্যের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
শসা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। দই এর সঙ্গে শসা মিশিয়ে তা আপনার পোষ্যকে দিতে পারেন। এতেও ওদের শরীর ঠান্ডা থাকবে।
ডাবের জল শরীরকে আর্দ্র ও ঠান্ডা রাখে। পোষ্যের ক্ষেত্রেও ডাবের জল সমান কার্যকরী। ডাবের জল পোষা কুকুরের জন্য নিরাপদ। ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণ ইলেক্ট্রোলাইট, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে যা ওদের শরীরে পুষ্টি ও শক্তি বাড়াবে।