বাবা-মায়েদের যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনেক সময় সন্তানেরা আশানুরূপ ব্যবহার করে না। রুক্ষ ব্যবহার থেকে শুরু করে বড়দের মুখের উপর পাল্টা জবাব দেয় তারা। ছোটদের মনের কথা ব্যক্ত করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু লাগাতার বাবা-মায়ের মুখের উপর কথা বলার প্রবণতা ইতিবাচক নয়। কারণ সঠিক সময়ে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ না করলে ভবিষ্যতে তার এই স্বভাব নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই সন্তানের ভালর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) মাথা ঠান্ডা: সন্তান মুখে মুখে তর্ক করলে তা বাবা-মায়েদের মনের মধ্যে রাগের উদ্রেক ঘটায়। অনেকেই এই পরিস্থিতিতে ছোটদের বকাবকি করেন। কখনও গায়ে হাত তোলেন। কিন্তু তার ফলে সন্তান আরও প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে। ঠান্ডা মাথায় তাকে বোঝালে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
২) নিয়মের বৃত্ত: সন্তানের কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, সেটা অভিভাবককেই তাকে বোঝাতে হবে। তাই স্পষ্ট ভাবে বড়দের মুখের উপর কথা বলার নেতিবাচক দিকগুলি তার সামনে তুলে ধরতে হবে। বড়দের সম্মান করা, নীচু স্বরে কথা বলার মতো বিভিন্ন নিয়ম তাকে শিখিয়ে দিতে হবে। নিয়মগুলি বাড়ির সদস্যদের সামনে ছোটদের বোঝাতে হবে। তা হলে বিষয়টির প্রতি তারা গুরুত্ব দেবে।
৩) ছোটদের প্রতি গুরুত্ব: বাড়িতে ছোটরা বড়দের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। কারণ অনেক সময়েই তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করতে তারা জেদ করে। অনেক সময়ে কোনও অবসাদ থেকে সন্তান জোর গলায় কথা বলতে পারে। তাই আগে স্পষ্ট ভাবে তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা উচিত। ছোটদের মনের কথা বুঝতে পারলে, তারাও আশ্বস্ত হবে। শান্ত হবে।
৪) কৃতজ্ঞতাবোধ: সন্তান যদি বড়দের কথা শোনে, তা হলে তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। সে কথা শুনলে তাকে কোনও উপহার দেওয়া যেতে পারে। তার মাধ্যমে বিষয়টির প্রতি ভবিষ্যতে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে ছোটরা।
৫) নিয়মানুবর্তিতা: এক বার সন্তানকে বুঝিয়ে ফল না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই তার আচরণ সম্পর্কে লাগাতার সন্তানকে বোঝানো উচিত। বড়দের মুখে মুখে সে যাতে তর্ক না করে সে দিকে লক্ষ রাখা উচিত। যদি তার পরেও সমস্যা না মেটে, তা হলে কোনও মনোবিদের সঙ্গে সন্তানের জন্য পরামর্শ করা যেতে পারে।