বহু দিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভিকি কৌশল আর ক্যাটরিনা কইফ ঘোষণা করেন, তাঁদের সংসারে আসছে নতুন সদস্য। খুব শীঘ্রই ভিক্যাটের ঘরে আসছে তাঁদের প্রথম সন্তান। বিয়ের পর থেকেই ভিকি-ক্যাটরিনার জুটি মনে ধরেছে অনুরাগীদের। ভিকির সঙ্গে ক্যাটরিনার সুন্দর গোছানো সংসারের ঝলক মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসে সমাজমাধ্যমে।
তবে সমাজমাধ্যমে অনুরাগীরা যা দেখছেন, তা সব সময়েই সত্য নয়। ভিক্যাটকে দেখে অনেকেই তাঁদের ‘আদর্শ জুটির’ তকমা দিয়েছেন। তবে ভিকি জানিয়েছেন, আর পাঁচটা জুটির মতো তাঁদের সম্পর্কেও ঝগড়া হয়, ভুল বোঝাবুঝি হয়। ভিকি জানান, সকালের সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় তিনি ক্যাটরিনাকে কোনও ভাবেই রাগান না।
ক্যাটরিনা ভোরবেলা তাড়াতাড়ি উঠে পড়েন। ভিকি কিন্তু মোটেই তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন না। অভিনেতা বলেন, ‘‘ক্যাটরিনা খুব সকালে উঠে পড়ে, আর ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওর মাথায় চলতে থাকে নানা রকম চিন্তা। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পারলে সকাল সকালই করে নেয়। আমার আবার এই বিষয়টিতে বড় আপত্তি। আমি সকালে দেরি করে উঠি। ওঠার পরেও বিছানা ছাড়তে আমার দু’ঘণ্টা সময় লাগে। তার পর আমি ধীরেসুস্থে চা খাব, জলখাবার খাব। সকাল সকাল গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আমার ভাল লাগে না। তাই সকালবেলায় ক্যাটরিনার থেকে একটু দূরে দূরেই থাকি।’’
ভিকি-ক্যাটের এই সমস্যা কিন্তু অনেক দাম্পত্যেই দেখা যায়। আর এই ছোট সমস্যা পরবর্তী সময় বড় ঝগড়ার কারণ হয়ে উঠে পারে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে এ ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পর্কে নিজেকে গুরুত্ব দিলে চলবে না, দু’জনের কথাই ভাবতে হবে সমান ভাবে। কেবল নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী নয়, গুরুত্বপূর্ণ কোনও আলোচনার ক্ষেত্রে সঙ্গীর ইচ্ছে, তাঁর মেজাজকেও একই ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তার পরেও ঝগড়া হলে কিন্তু দু’জনকেই সাবধান হতে হবে। জানতে হবে নিজেকে শান্ত রাখার কৌশল। সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়ার পর কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা করে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, রইল হদিস।
ভিক্যাটকে দেখে অনেকেই তাঁদের ‘আদর্শ জুটির’ তকমা দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
১) ঝগড়ার শেষে একে অপরকে খানিকটা সময় দিন। সঙ্গে সঙ্গে মিটমাট করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, কী করলে ঝগড়া এড়ানো যেত। কিছুটা সময় দিলে দু’জনের মন থেকেই ধীরে ধীরে অশান্তির রেশ কমে যাবে। তার পরেই না হয় সঙ্গীর সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন।
২) ঝগড়ার পরেই দরজায় খিল আটকে বসে থাকবেন না যেন। রাগ পুষে রাখলে সমস্যা কিন্তু আরও বাড়বে। খানিকটা শান্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। ঝগড়ার পরেই পরস্পরের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে খানিক সময় লাগে। তাই বলে একেবারে কথা বন্ধ করে বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না।
৩) ঝগড়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সমান ভূমিকা থাকে। তাই ঝগড়ার শেষে দু’জনেই একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে কিন্তু সমস্যা মিটে যায়। এই অভ্যাস কিন্তু যে কোনও ঝগড়ার শেষে মিটমাট করার সেরা উপায়। এ ক্ষেত্রে সমান ভাবে উদ্যোগী হতে হবে।
৪) ঝগড়া হলে আর পাঁচজনের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা ভাগ করে নেবেন না। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া মিটিয়ে নিন। তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না।
৪) অনেক সময় ঝগড়া মিটে গেলেও ঝগড়ার রেশ থেকে যায় কয়েক দিন। সেই সময় আবার কোনও ছোট ঘটনা থেকে নতুন ঝগড়া শুরু হতে সময় লাগে না। তাই ঝগড়া মিটে যাওয়ার পর দু’জনে একান্তে সময় কাটান। সিনেমা দেখুন, বাইরে কোথাও খেতে যান, কাছেপিঠে ঘুরে আসুন। এ ভাবে মনমেজাজ দু’জনেরই ভাল থাকবে।