৩০ বছর বয়সি ব্রেন্ডা ওসোরনো আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহে তিন দিন নিয়ম করে ডেটে যেতেন মনের মতো সঙ্গীর খোঁজে। কিন্তু জীবনসঙ্গী না পেলেও বদলে গেল জীবন। আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি ব্রেন্ডা ওসোরনো শুরু করলেন জীবনের নতুন অধ্যায়।
কিছু মাস হল প্রেম ভেঙেছে ব্রেন্ডার। ১০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি। একাকিত্বে ভুগছিলেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ডেটিং অ্যাপে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন ব্রেন্ডা। সেখানে প্রতি দিন কয়েক জনের আলাপ হতে থাকে তাঁর। সেই মুহূর্তে তিনি কারও ভালমন্দ গুণের বিচার করেননি। প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। লিপ্ত হতেন শারীরিক সম্পর্কেও। একই ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বার তিনি দেখা করতে চাইতেন না।
কিন্তু এক দিন ডেটে গিয়ে বদলে গেল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। যাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তিনি ব্রেন্ডোকে ‘অসুন্দর’ বলে অপমান করেন। বাড়ি ফিরে নিজেকে আয়নায় দেখে বুঝতে পারেন, নিজের যত্ন নেওয়া হয়নি বহু দিন। ওজন বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। পরিচর্যার অভাবে ঝুলে গিয়েছে চামড়া। একাকিত্ব দূর করতে গিয়ে নিজেকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেছেন। সে দিনের পর থেকেই ডেটে যাওয়া বন্ধ করে দেন ব্রেন্ডো। বরং ভর্তি হন জিমে। শুরু করেন রূপচর্চা। বাহ্যিক ভাবে নিজেকে বদলে ফেলার পাশাপাশি ভিতর থেকেও একটা বদল চেয়েছিলেন। তাই ক্যারাটে এবং পোলো নাচের ক্লাসে যোগ দেন। এক মাস পর সামান্য হলেও নিজের মধ্যে বদল দেখতে পেয়ে উৎসাহ পান। নিজেকে নতুন লাগতে শুরু করে। আগে একাকিত্ব কাটাতে ডেট করতেন। জিম, সাঁতার, ক্যারাটে ক্লাস, নাচ— এখন এত কিছু করে দম ফেলার সময় পান না তিনি। ব্রেন্ডো জানিয়েছেন, এখন তিনি সবচেয়ে ভাল আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy