প্রত্যেক অভিভাবকই তাঁর সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। বুদ্ধিমান এবং আত্মবিশ্বাসী সন্তানের জন্য বাবা-মায়েরা নিরলস পরিশ্রম করেন। কিন্তু অল্প বয়স থেকে সন্তানকে প্রখর বুদ্ধির অধিকারী করে তুলতে হলে চাই ছোট ছোট পদক্ষেপ। পড়াশোনার বাইরেও তাই সন্তানের জন্য আলাদা করে সময় বার করা প্রয়োজন। কয়েকটি পরামর্শ খেয়াল রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন:
১) সন্তানের একঘেয়েমি: দৈনন্দিন পড়াশোনা বা কাজের মাঝে সন্তানের একঘেয়েমি আসতে পারে। কিন্তু এই ধরনের সময়ে অল্প বয়সিদের মস্তিষ্ক নতুন করে ভাবতে শেখায়। শিল্পীসত্তা তৈরি করতে সাহায্য করে।
২) উত্তর জানাই যথেষ্ট নয়: কিশোরকালে সন্তান সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে মানেই সে প্রখর বুদ্ধির অধিকারী না-ও হতে পারে। তাই প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গেই তার মনের ভাব জানা প্রয়োজন। তাই কথোপকথনের মধ্যে ‘তোমার কি মনে হয়?’— এই ভাবনা রাখা যেতে পারে। তার ফলে নিয়মের বাইরেও ভাবতে সে বাধ্য হবে। ফলে মস্তিষ্কও সচল থাকবে।
৩) মানুষ মাত্রেই ভুল হয়: ছোটরা ভুল করলে, অনেক সময়েই তাদের বকাবকি করা হয়। কিন্তু ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষালাভ করে। অল্প বয়সে ভুলের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তাদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। তার ফলে তাদের মস্তিষ্কও অন্য ভাবে ভাবতে বাধ্য হবে।
৪) নিয়মিত খেলাধুলো: এখনকার অনেক শিশু-কিশোরই মোবাইলে আসক্ত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অল্প বয়সে নিয়মিত খেলাধুলো করলে দ্রুত বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। তাই সব সময়ে ছোটদের বইয়ে বা মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকা উচিত নয়। দৌড়নো, নৃত্য বা গাছে চড়ার মতো বিভিন্ন কাজের মাধ্যমেও মস্তিষ্ক নতুন ভাবনা তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।
৫) গল্প শোনার অভ্যাস: বই পড়ার মাধ্যমে ছোটদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মুঠোফোনের পর্দায় বই পড়ার তুলনায় বড়দের মুখে গল্প শোনার উপকারিতা বেশি। কারণ, তা তাদের ভাবতে বাধ্য করে। প্রশ্ন করতে শেখায়। তাই বুদ্ধির বিকাশের জন্য নিয়ম করে ছোটদের গল্পের বই পড়ে শোনানো যেতে পারে।