প্রতীকী ছবি।
শিশুদের যত্ন নেওয়ার কথা হয়েই থাকে। কী খাওয়াবেন, কখন ঘুমনো প্রয়োজন— সব আলোচনা হয়। কিন্তু সে সব করতে গেলে সুস্থ থাকতে হয় তাদের অভিভাবকদেরও। অথচ পরিবারে প্রাপ্তবয়স্কদের যত্ন নেওয়ার তেমন বিধি-নিয়ম থাকে না। তার চেয়েও বড় হল, নিজের দেখভাল করতে হয় নিজেকেই। ফলে অনেক সময়েই হাজার কাজ সামলে আর ইচ্ছা করে না আলাদা ভাবে নিজের যত্ন নিতে। কিন্তু তা করলে চলবে না। বরং কিছু সাধারণ নিয়ম বানিয়ে রাখা যায় পরিবারে। যা সকলের জন্যই হবে প্রযোজ্য। তাতে শিশু ও বাবা-মা সকলেরই স্বাস্থ্যরক্ষা হবে।
নানা দিক থেকেই নিজেদের যত্ন নিতে হয়। তবে খাওয়াদাওয়ায় জোর দেওয়া জরুরি। ফলে পরিবারের খাদ্যাভ্যাস ভেবেচিন্তে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তাতে বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলে ভাল থাকবেন।
১) সব ধরনের উপাদান থাকা প্রয়োজন। ফলে কোনও এক ধাঁচের খাবার রোজ রোজ খাবেন না। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের কোনওটিই একেবারে বাদ দেওয়া যায় না। সকালে যদি খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, রাতের খাবার খেয়াল করে বানান। তাতে ফ্যাট কম থাকতে হবে।
২) অতিরিক্ত নুন ও চিনি খাওয়া কারও জন্যই ভাল নয়। গোটা পরিবারের খাবারেই সে বিষয়ে বদল অনুন। কাঁচা নুন কথায় কথায় খাবেন না। রোজ মিষ্টি খাবারও বাড়িতে রাখবেন না।
৩) শরীর আর্দ্র রাখতে হবে সকলকেই। ঘণ্টায় ঘণ্টায় জল খাওয়ার অভ্যাস করান বাড়ির সকলকে। নিজেও সেই নিয়ম পালন করুন। ছুটির দিনে বিকেলে ফল-সব্জির রস করেও সকলে মিলে খাওয়া যায়। যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই তা স্বাস্থ্যকর।
৪) সকলেরই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রোজ কিছু ক্ষণ ব্যায়ামের সময় বার করুন। বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় না পেলে বাড়িতেই করুন।
৫) মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য পরিবারের পাঁচ জনের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা জরুরি। ফলে দিনের একটি সময়ে কোনও কোনও কাজ একসঙ্গে করুন। বাড়ির শিশুটিকে পড়ানোর দায়িত্ব নেওয়াই হোক বা একসঙ্গে নৈশভোজ, ব্যায়াম— সবই মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy