শরীরের নানা অসুখের সঙ্গে লড়ে যায় দামি এই শুকনো ফল। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
আইসক্রিম হোক বা চকোলেট— মুখে কয়েক টুকরো পেস্তা পড়লে সে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। শুনো ফল হিসাবে প্রচলিত হলেও, নানা রান্নায় পেস্তা দেওয়ার চল রয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়েই। ভোজনরসিকের কাছে বাদাম-পেস্তা-আখরোট যেন স্বাদকোরকে যোগ করে আলাদা মাত্রা।
কিন্তু কেবল স্বাদ নয়, পেস্তা আসলে শরীরের জন্যও খুব জরুরি। এই শুকনো ফল একটু দামি বটে, তবে অল্প পরিমাণে ডায়েটে যোগ করতে পারলেও ফল মিলবে হাতেনাতে। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় পেস্তা রাখেন, তা হলে কী কী উপকার হতে পারে জানেন?
ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি-৬ ও পটাশিয়ামে ঠাসা এই খাবার শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী জানালেন, পেস্তার এ রকমই কিছু গুণাগুণের কথা।
আরও পড়ুন
আরশোলার উৎপাত বাড়ছে? এ সব ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পান সহজেই
ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়ার উৎসব ‘অরন্ধন’, রইল কিছু তথ্যতালাশ
ওবেসিটি কমাতে পেস্তা অত্যন্ত কার্যকর। দুধের সঙ্গে পেস্তা খেলে সহজেই শরীরের মেদ ঝরে। পেস্তা গ্লাইকোজেন জমতে দেয় না দেহে। পেস্তায় ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম, তেমনই এই বাদাম হাই-প্রোটিন সমৃদ্ধ। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তাই অল্পে পেট ভরানোর পাশাপাশি শরীরে শক্তিবৃদ্ধিতেও বিশেষ উপযোগী এই ফল।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পেস্তা। পেস্তার মধ্যে দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও টোকোফেরল রয়েছে। তাই দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে ও ঠান্ডাজনিত অসুখ রুখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ রুখতেও এই ফল বিশেষ উপযোগী। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁরা যদি প্রতি দিন পেস্তা খাদ্যতালিকায় রাখেন তা হলে সুস্থ থাকবেন। ডায়াবিটিসের সমস্যাতেও পেস্তা খুবই কার্যকর। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না পেস্তা। অনেক ডায়াবিটিক রোগীকে পেস্তা বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy