ডায়াবিটিসের উপদ্রব ঠেকাতে সচেতনতাই মূল অস্ত্র। ছবি: শাটারস্টক।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত শরীরচর্চার কারণে নানা অসুখবিসুখের শিকার হই আমরা। শুধু তা-ই নয়, অসুখের আগে তার উপসর্গ নিয়েও খুব একটা মাথা ঘামানো হয়ে ওঠে না আমাদের। বরং অসুখের শিকার হলে তবেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।
কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে ও উপসর্গ দেখা দিলেই সচেতন হলে কমানো যায় অনেক অসুখের প্রবণতা। বিশেষ করে, ডায়াবিটিস। এটি আক্রমণের আগে নানা ভাবে জানান দেয় শরীরে। তখনই সাবধান হলে অনেকাংশেই ঠেকিয়ে রাখা যায় বিপদ।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে দেহে কেমন সমস্যা হয় তা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। কিন্তু নিঃশব্দে শরীরে ডায়াবিটিস হানা দিলে কী ভাবে বুঝবেন তা, জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ভয় পাচ্ছেন? এ সব মেনে চললেই থাকবেন নিশ্চিন্ত
চটজলদি মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে চান? তা হলে গাজর খান এ ভাবে
ঘন ঘন প্রস্রাবের অভ্যাস তৈরি হচ্ছে কি? তা হলে সাবধান হোন। রক্তে শর্করা বাড়লে তা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে, শরীর থেকে অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্যই এই চাপ। তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। অনেকে প্রস্রাবের তাড়না বুঝে ওঠার আগেই প্রস্রাব করে পেলেন। এমন হলে অবশ্যই ব্লাডসুগার পরীক্ষা করান। হাত-পা কিংবা হাত-পায়ের কোনও আঙুল কি অবশ হয়ে পড়ছে? এমন হলে দ্রুত সতর্ক হোন। রক্তে শর্করা বাড়ার এটি অন্যতম লক্ষণ। রক্তে শর্করা বাড়লে তা বার করার জন্য কিডনিতে চাপ দেয় বলে যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তেমনই অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণে শরীরের জল বেরিয়ে যায়। তাই জল তেষ্টাও পায় প্রবল। এমনকি, রাতে ঘুমের মধ্যেও জিভ শুকিয়ে জল তেষ্টা পায় বারবার। শরীরে কোনও ঘা অনেক দিন ধরে না শুকোলে সচেতন হোন। ক’দিন ধরে কি হঠাৎই চোখে কম দেখছেন? চশমা বদলানো বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াও একবার ব্লাডসুগার পরীক্ষা করান। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপরও। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁপিয়ে যাচ্ছেন প্রায়ই? খুব অল্পেই হাঁপিয়ে ওঠা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের শিকার হয় শরীর। ফলে দুর্বলতা বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy