বাসি রুটির অনেক গুণ। ছবি: সংগৃহীত
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছর অনেকেই রাতে রুটি খান। প্রয়োজন মাফিক তৈরি করা হলেও অনেক সময়ে একটা-দুটো বাড়তি রুটি থেকেই যায়। রুটি হোক কিংবা রোগানজোস— বাসি খাবার খাওয়ার আগে স্বাভাবিক ভাবেই এক বার ভাবনা আসে। বাসি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা হয় বলে অনেকেই এড়িয়ে চলেন। চিকিৎসকেরা বাসি খাবার খেতে বারণ করেন ঠিকই, তবে রুটির ক্ষেত্রে বিষয়টি খানিক আলাদা। রুটি বাসি হয়ে গিয়েছে মানেই সেটা খাওয়ার অযোগ্য, বিষয়টি তেমনও নয়। রুটি যদি ঠিক করে রাখা হয়, তা হলে অনায়াসে খাওয়া যায়। রাতের বেঁচে যাওয়া রুটি এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতেই পারেন। সকালে হালকা করে সেঁকে নিয়ে খাওয়া যেতেই পারে। বাসি রুটি খেলে কোনও সমস্যা তো হয়ই না, বরং কিছু উপকারও পাওয়া যায়।
১) হজমের গোলমালের ভয়ে বাসি খাবার খেতে চান না অনেকেই। এ দিকে, বাসি রুটি আবার হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে। রুটিতে ফাইবার থাকায় বাসি হোক কিংবা টাটকা, হজম করা সহজ। ফলে পেটের কোনও সমস্যা হয় না। তবু ঝুঁকি এড়াতে জল হালকা গরম করে রুটিগুলি ধুয়ে নিতে পারেন।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ভরসা রাখেন রুটিতে। টাটকার চেয়ে বাসি রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফলে বাসি রুটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না।
৩) বাসি রুটিতে প্রোবায়োটিক উপাদান রয়েছে। ফলে পেটের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাসি রুটি বেশ উপকারী। বাসি রুটিতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান পেটের খেয়াল রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জীবাণুর সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে বাসি রুটি।
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসক কিংবা দক্ষ কারও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy