ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার পরে বাংলার জনজীবন এবং পেশাগত জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে। ইংরেজ শাসনের আগে পেশাগত পরিসর অনেকাংশে কেবল পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মধ্যবিত্ত নারীদের স্থান সাধারণত ছিল অন্দরমহলের চার দেওয়ালের মধ্যেই। কিন্তু এই ঔপনিবেশিক শাসনে পেশাগত জীবনের চেহারাটাই বদলে যেতে থাকে। নজরে আসে শিক্ষকতা, ডাক্তারি, ওকালতির পাশাপাশি বিনোদন জগতে সসম্মানে নারীর প্রবেশ— কখনও সঙ্গীতে, কখনও নৃত্যে, কখনও নাট্য মঞ্চে কখনও বা চলচ্চিত্রে। নিঃশব্দে ঘটে যায় একটি বিপ্লব।
যখনই নারী ও বিনোদন, এই দু’টি শব্দ পাশাপাশি এসেছে, তখনই সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছেছে, তা নেতিবাচক। ভদ্রলোকেরা যথেষ্টই নিচু নজরে নারীর সামাজিক অবস্থানকে চিত্রিত করেছে। সময়ের সঙ্গে বদলেছে সমাজের ধ্যানধারণাও। এখন নারী ঘর ও শিল্প জগৎ দুই-ই সামলাচ্ছে দক্ষ হাতে, সসম্মানে। দুই ক্ষেত্রে প্রথমা তাঁরাই। আগামী ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা তাঁদের কথা বলবে যাঁদের কণ্ঠ পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে ক্রমশ সোচ্চার হয়েছে। তাঁদের সেই কন্ঠে যে গান আমরা পেয়েছি, তা ব্যক্তিগত, প্রতিবাদী এবং স্বাধীন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ জিডি বিড়লা সভাঘরে এসপিসিক্রাফটের বার্ষিক অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে এই সব অসমসাহসী মানবীদের কথা বলবেন এসপিসিক্রাফটের শিল্পীরা এবং সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন রাজসী ভট্টাচার্য। এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে অনসম্বল নাট্যগোষ্ঠীর সহায়তায়, সোহাগ সেনের পরিচালনায় এবং অরুণাভ সিংহের অনুবাদে উপস্থাপিত হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প ‘রবিবার’-এর ইংরেজি শ্রুতি অভিনয়। এই নাটক পাঠে অংশগ্রহণ করবেন সোহিনী সেনগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং বেহালাবাদনে সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। এই গোটা অনুষ্ঠানটির মূল ভাবনায় সুজয়প্রসাদ।