জ্বালাপোড়া গরমে নাভিশ্বাস উঠছে। দিনভরই বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রটি চালু রাখছেন অনেকে। একই সঙ্গে আবার কুলারও চলছে অনেকের বাড়িতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যদি এসি চলে তা হলে কিন্তু বিপদ ঘটতেই পারে। ঠান্ডায় যতই প্রাণ জুড়োক এসি চালাতে হলে নিয়ম মানতেই হবে। বাতানুকূল যন্ত্র যদি বেশি ক্ষণ চালাতে হয়, তা হলে তাপমাত্রা ঠিক কত থাকা উচিত, কত ক্ষণ একটানা চালানো উচিত, সেটাও জেনে রাখা দরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েক জায়গায় এসির কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাই কী ভাবে সতর্ক থাকবেন তা জেনে রাখা জরুরি।
রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি নেই তো
এসি বিস্ফোরণের অন্যতম বড় কারণ রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি। বাতানুকূল যন্ত্র কিনে আনলে তা অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়েই ‘ইনস্টল’ করান। যন্ত্রের ভেতরের ও বাইরের অংশ ঠিকমতো বসানো না হলে বিপদের ঝুঁকি থেকেই যাবে। আউটডোর মেশিনটি ঠিকমতো বসানো হয়েছে কি না, কোন জায়গা বসানো হয়েছে তা-ও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত সার্ভিসিং হয় তো!
বেশি ক্ষণ বাতানুকূল যন্ত্র চলে যাঁদের বাড়িতে, তাঁদের নিয়ম করে সার্ভিসিং করাতেই হবে। না হলে মেশিনের ফিল্টারে ধুলোময়লা জমে তা থেকে যান্ত্রিক গোলযোগ হতে পারে। অনেকে গ্যাস না ভরিয়েই এসি চালাতে থাকেন। এর ফলে ঘর ঠান্ডা তো হয় না, বরং কম্প্রেসার গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ে। খেয়াল রাখবেন, কোনও ভাবেই এসির কম্প্রেসার গরম হতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
তাপমাত্রা কত রাখেন?
একটানা ১৬ ডিগ্রি বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে রাখলে কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়বে। বেশি ক্ষণ যদি এসি চালাতে হয়, যেমন রাতের বেলায় তা হলে তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রিতে রাখাই ভাল। এতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি কমবে।
কত ক্ষণ এসি চালান?
প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চালালে কম্প্রেসার তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন ১ ঘণ্টা টানা চালানোর পরে অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য এসি বন্ধ রাখতে। টানা ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা কখনওই এসি চালিয়ে রাখা ঠিক নয়। আর যদি ঘণ্টা দুয়েক টানা বাতানুকূল যন্ত্রটি চলে, তা হলে মাঝে ১ ঘণ্টার বিরতি দিতেই হবে।
আউটডোর ইউনিট ঢেকে রাখবেন না
এসির আউটডোর ইউনিটটি রোদ থেকে বাঁচাতে ভুলেও ঢেকে রাখবেন না। অনেকেই প্লাস্টিক বা কাপড় চাপিয়ে দেন ইউনিটের উপর। এমন করলে তাপ বেরোনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।