E-Paper

জরায়ুমুখ ক্যানসার নিয়ে বার্তা দিচ্ছে অ্যাপ-ক্যাব

কেন এই উদ্যোগ? শোভনের কথায়, ‘‘জরায়ুমুখ ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে তা ঋতুস্রাব দিয়েই প্রথমে বোঝা যায়। অপরিষ্কার ভাবে থাকলেও, বিশেষত বিবাহিত মহিলাদের এই অসুখের আশঙ্কা থাকে।”

স্বাতী মল্লিক

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:১০

—প্রতীকী চিত্র।

স্তন ক্যানসার ছাড়াও মহিলাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি বাসা বাঁধে জরায়ুমুখ ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে, বছরে কয়েক লক্ষ মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই রোগে মৃত্যুর নিরিখে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে প্রথমের দিকেই রয়েছে ভারত। কিন্তু এ দেশের মহিলাদের মধ্যে আজও এ নিয়ে সচেতনতা তেমন নেই। তাই জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে খাস কলকাতার বুকে ঘুরছে খান তিনেক অ্যাপ-ক্যাব। ওই ক্যাবের গায়ে আঁকা ছবি, লিফলেটের মাধ্যমে এই রোগ সম্পর্কে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি জরায়ুমুখ ক্যানসারে নিজের মৃত্যুর ভুয়ো খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। তবে পুনমের মতো ভুয়ো খবরের বদলে সচেতনতা বাড়াতে অ্যাপ-ক্যাবকে হাতিয়ার করেছেন এই উদ্যোগের পুরোভাগে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়। ‘কলকাতার প্যাডম্যান’ শোভন জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে সচেতনতামূলক বার্তা লেখা তিনটি অ্যাপ-ক্যাব শহরের পথে ঘুরছে। গাড়ির ভিতরে থাকছে এই রোগ নিয়ে লেখা এবং লিফলেট। কোনও যাত্রী ওই অ্যাপ-ক্যাবে উঠলে সহজেই নজরে আসছে এই সচেতনতার বার্তা। ওই গাড়িগুলির চালক অভ্র-শান্তনু-শুভাশিসেরা জানাচ্ছেন, গাড়িতে ওঠা কমবয়সি তরুণীরা ইতিমধ্যেই বেশ উৎসাহ দেখিয়েছেন। আগ্রহ দেখিয়ে প্রশ্ন করেছেন পুরুষ যাত্রীরাও।

কেন এই উদ্যোগ? শোভনের কথায়, ‘‘জরায়ুমুখ ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে তা ঋতুস্রাব দিয়েই প্রথমে বোঝা যায়। অপরিষ্কার ভাবে থাকলেও, বিশেষত বিবাহিত মহিলাদের এই অসুখের আশঙ্কা থাকে। তাই শরীরে ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ (এইচপিভি) ঢুকেছে কি না, তা দেখতে ভিআই পরীক্ষা করানো উচিত। কিন্তু এ সংক্রান্ত সচেতনতাই তেমন নেই। তাই মানুষকে সচেতন করতেই হাতিয়ার অ্যাপ-ক্যাবগুলি।’’

এই উদ্যোগে শোভনদের পাশে রয়েছে এ রাজ্যের স্ত্রী-রোগ চিকিৎসকদের একটি সংস্থা। ওই সংস্থার সহ-সভাপতি তথা স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘হেপাটাইটিস বি এবং জরায়ুমুখ ক্যানসার— এই দু’টি রোগ ভাইরাসঘটিত হওয়ায় প্রতিষেধক দিয়ে আটকানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নিলে জরায়ুমুখ ক্যানসারের আশঙ্কা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। কিন্তু ভারতে ৯-১৫ বছর বয়সি মেয়েদের মাত্র এক শতাংশ এই প্রতিষেধক নেয়।’’ তিনি জানান, এই রোগ রুখতে কেন্দ্রের তরফে প্রতিষেধকের কথা বলা হলেও তা এখনও সরকারি হাসপাতালে আসেনি। তাই মানুষকে সচেতন করার এমন উদ্যোগে পাশে রয়েছেন তাঁরাও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cervical Cancer Cancer Care cancer awareness

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy