ছেলেবেলার মতো ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করলে কি উপকার মিলবে? — প্রতীকী চিত্র।
স্কুলে পড়ার সময়ে ইতিহাস, ভূগোলের মতো বিষয় খুব কঠিন মনে হত। কিছুতেই সাল, তারিখ মনে থাকত না। এক দেশের রাজধানীকে অবলীলায় অন্য দেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন। কিন্তু স্কুল-কলেজ পেরিয়ে এসেও যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তা নয়। চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়েও সেই এক সমস্যা। কিছুতেই পড়া মনে রাখতে পারছেন না। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে ছোটবেলার অভ্যাসে। কী ভাবে জানেন?
১) ভোরবেলা পড়তে হবে
ঘুম থেকে ওঠার পর মন শান্ত থাকে। মাথায় পারিপার্শ্বিক চিন্তাভাবনা থাকে না। তাই এই সময়ে খুব কঠিন কিছু পড়লে, তা সহজেই মনে থেকে যায়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এই প্রাচীন পদ্ধতি দারুণ ভাবে কাজ করে।
২) লিখে রাখতে হবে
ইতিহাস, ভূগোল পড়তে গিয়ে দিন-রাত এক করে ফেলছেন, অথচ পড়া কিছুতেই মুখস্থ করতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে উপায় একটিই। যা কিছু পড়ছেন, তা আত্মস্থ করে লিখে ফেলতে হবে। ২০২১ সালে জাপানে হওয়া একটি সমীক্ষা বলছে, কাগজ-কলম ব্যবহার করে পড়া জিনিস লিখে রাখলে তা মনে রাখা সহজ হয়।
৩) মনে মনে ভাবতে হবে
পড়ার পর খাতায় তা লিখে ফেলুন। কিন্তু লিখে ফেলে রাখলে হবে না। যা যা লিখে রাখলেন, মনে মনে তা ভাবুন। নিজের লেখা জিনিস বার বার মনে করলে তা আত্মস্থ করা সহজ হয়। মনে থাকে অনেক দিন।
৪) নির্দিষ্ট সময়
পড়া মনে রাখতে গেলে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতি দিন পড়তে বসতে হবে। যেমন স্কুলের নির্দিষ্ট সময় থাকে, তেমন নিয়মই বাড়িতে চালু করুন। কোন বিষয়, কখন পড়বেন তা রুটিনের মতো করে সেট করে নিন।
৫) বার বার পড়া
কোনও বিষয় মনে রাখতে গেলে বার দুয়েক পড়লেই হয় না। অন্তত পক্ষে বার পাঁচেক পড়ার পর বিষয়টি বুঝতে শুরু করতে পারেন কেউ। তার পর তা লিখে রাখলে বিষয়টি আত্মস্থ হয়। কিন্তু তা দীর্ঘ দিন মনে রাখতে গেলে মাঝে-মধ্যেই ওই বিষয়টি পড়তে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy