পোষ্য বাড়িতে থাকা মানেই আপনি তাকে সন্তানের মত পরিচর্যা ও দেখভাল করবেন, সেটাই কাম্য। গরম বেড়েই চলেছে। আমাদের যেমন গরমে হাসফাঁস অবস্থা, রোদে বেরোলে কষ্ট, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়, তেমনই বাড়ির পোষ্যরাও গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ে। তাই এই সময় তাদের প্রতি নিতে হবে বাড়তি যত্ন।
গ্রীষ্মে শুধু মানুষ নয়, বাড়ির সারমেয় পোষ্যটিরও ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে। এতে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে তার নানা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
‘হিট স্ট্রোক’-এ লক্ষণ:
- এ ক্ষেত্রে পোষ্যের শ্বাসের গতি অনেক বেড়ে যায়।
- জিভ শুকিয়ে যায়, নাকও শুকিয়ে যায়।
- শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
- মূত্রের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যায়।
- মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, তার সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া।
প্রতীকী ছবি
কী করবেন:
আপনার পোষ্য ‘হিট স্ট্রোক’ আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারই মধ্যে চেষ্টা করতে হবে, ওকে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে। আর পারলে হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ওকে মুড়ে দিতে হবে।
এই সময় আর কী কী যত্ন নেবেন?
- পোষ্যের জলের বাটি ভরা আছে কি না সে দিকে সব সময় নজর রাখুন। গরমে ওদের তৃষ্ণা পাবে এবং তাড়াতাড়ি জল শেষ করে ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক।
- কুকুরের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এবং ওদের মল-মূত্র ত্যাগ করার জন্য প্রতিদিন রাস্তায় হাঁটতে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। চেষ্টা করুন একদম সকালে যখন রোদের তাপ কম থাকে তখন অথবা সূর্যাস্তের পর হাঁটতে নিয়ে যেতে।
- মেঝেতে ওরা যেখানে বসে সেখানে ভেজা তোয়ালে বিছিয়ে দিন। এতে ওরা আরাম পাবে।
- এই সময় পোষ্যের লোম ছোট করে কেটে দিন। এতে তাদের কষ্ট কমবে। এই সময় তাদের নিয়মিত স্নান করাতে হবে। এতে তাদের শরীর ঠান্ডা থাকবে।