রান্না করতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে অফিস, বাইরের কাজ ইত্যাদি সামলে প্রতি দিন হেঁশেলে ঢোকার সময় পাওয়া যায় না। রান্না হল সময়সাপেক্ষ কাজ। মন দিয়ে না করলে খাবারে স্বাদ হয় না। আর রান্না সুস্বাদু না হলে তা খাওয়ার কোনও মানে নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে তাড়াহুড়ো করে হেঁশেলের কাজ সারতে হয় অনেককেই। তবে একটু মাথা খাটালে কম সময়ে সুস্বাদু রান্না করা যায়। হেঁশেলে রোজ কিছু না কিছু সেদ্ধ করতে হয়। কখনও ভাত ফোটাতে করতে গিয়ে বেশি সেদ্ধ হয়ে যায়, কখনও আবার পাস্তা সেদ্ধ করতে গিয়ে তা আধসেদ্ধ রয়ে যায়।
একেবারে ঠিকঠাক ভাবে খাবার তখনই সেদ্ধ হবে, যখন জলের তাপমাত্রা সঠিক থাকবে। সব খাবারের ক্ষেত্রে জলের তাপমাত্রা এক থাকবে না। জেনে নিন, খাবার সেদ্ধ করার কায়দা-কৌশল।
আলু: আলুর দম হোক বা আলুসেদ্ধ মাখা, ঠিকঠাক ভাবে সেদ্ধ না হলে কিন্তু খেতে মোটেও ভাল লাগে না। মনে রাখবেন, আলু সেদ্ধ করার সময় সব সময় ঠান্ডা জলে আলুগুলি রেখে তবেই গ্যাস চালু করবেন। ধীরে ধীরে জল গরম হলে আলু ভিতর থেকে ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়। ফুটন্ত জলে আলু দিয়ে দিলে বাইরের ভাগটি গলে গেলেও ভিতর থেকে আলু শক্ত থেকে যায়।
ডিম: ডিম সেদ্ধ করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ঠান্ডা জলের ভিতর সাবধানে ডিমগুলি রেখে তবেই গ্যাস চালু করা উচিত। তা হলে বাইরেটা রবারের মতো শক্ত হবে না, আর কুসুমও ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে। ফুটন্ত জলে ডিম দিয়ে দিলে ডিমের বাইরের খোলস ভেঙে যেতে পারে। তাই ডিম সেদ্ধ করার সময় জলের তাপমাত্রার বিষয় সতর্ক থাকুন।
পাস্তা: পাস্তা যে কোনও আকারেরই হোক না কেন, তা সেদ্ধ করার সময় জল একেবারে ফুটন্ত হতে হবে। ফুটন্ত জলে পাস্তা সেদ্ধ করলে তা কখনওই অতিরিক্ত গলে যাবে না। এর পাশাপাশি অবশ্য সময়টাও মাথায় রাখতে হবে।