স্কিনমার্কস ট্যাটু
উল্কির ছোঁয়ায় এবার চলবে স্মার্টফোনও। ফোন করতে পারবেন। গেমে মজে থাকতে পারবেন। মিডিয়া প্লেয়ার চালিয়ে গানও শুনতে পারবেন। রথও দেখা হবে কলা বেচাটাও হবে। অর্থাত্ নিজেকে সুন্দর করে তোলার সঙ্গে এ বার উল্কিকে কাজে লাগাতে পারেন নিজের প্রয়োজনেও। কিন্তু কী ভাবে?
নাম স্কিনমার্কস। এক ধরনের আল্ট্রা সরু ইলেক্ট্রনিক ট্যাটু। আপনার শরীরে যদি জন্মগত দাগ বা ছোপ থাকে সেই জায়গাগুলোকে এই ধরনের উল্কিতে পরিবর্তন করা যায়। শরীরে যে কোনও জায়গায় এই উল্কি করা যায়।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্কের নামে এমন ভুয়ো মেসেজের ফাঁদে পা দেবেন না, সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন
জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী স্কিনমার্কস ট্যাটু তৈরি করেছেন। এই প্রোজেক্টের সঙ্গে গুগলের সহযোগিতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন, আমাদের শরীরে বিশেষ কয়েকটি ‘ল্যান্ডমার্ক’ রয়েছে, যে গুলো হাড়ের গঠনগত কারণে তৈরি হয়েছে। যেমন হাত মুঠো করলে যে উঁচু চারটি গাঁট পাওয়া যায়, সে সব জায়গায় স্কিনমার্কস করা যেতে পারে। বা আঙুলের ডগায়ও এই ধরনের উল্কি করতে পারেন। তাতে স্মার্টফোন চালাতে সুবিধা হবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
দেখুন ভিডিও
এই স্কিনমার্কসগুলি হল সুক্ষ্ম তার (চুলের থেকেও সরু) এবং ইলেক্ট্রোডসে (বিদ্যুদ্বাহক পদার্থ যার মধ্যে বিদ্যুত্ যাতায়াত করতে পারে) ছাপানো এক ধরনের পেপার, যেটা জলছবির মতো গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, স্কিনমার্কস দিয়ে কাউকে ফোন করা কিংবা মোবাইলের সাউন্ড কমানো বাড়ানো এমনকী মিডিয়া প্লেয়ার চালিয়ে গানও শুনতে পারা যাবে। নানা আইকনের মতো দেখতে স্কিনমার্কসে আলোও জ্বলবে। কারনেগ মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস হ্যারি এই প্রসঙ্গে বেশ মজার কথা বলেন, “২০৫০-র মধ্যে দেখবেন সব পার্লারেই এই ধরনে ট্যাটু ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাঁরা তখন অপারেট করছেন আইফোন ২২। অবাক হওয়ার কিছু নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy