ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন ধরেই মাথা যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। ভেবেছিলেন, মাইগ্রেনের ব্যথা। তাই বিশেষ গুরুত্ব দেননি। কিন্তু, যন্ত্রণা সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন ফ্লোরিডার বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, মাইগ্রেন নয়, ওই ব্যক্তির মাথায় বাসা বেঁধেছে ফিতাকৃমি। সেই কারণেই মাথা যন্ত্রণা করছে। এটা দেখার পর চিকিৎসকেরাও অবাক হয়ে গিয়েছেন। মাথার মধ্যে কী ভাবে ফিতাকৃমি বাসা বাঁধতে পারে, সেই কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা শুরু করেন চিকিৎসকেরা। জানা যায়, আধসেদ্ধ বেকন খেয়েই এমন হয়েছে। এই ধরনের ফিতাকৃমি জন্ম নেয় শূকরের শরীরে। ফলে শূকরের মাংসের মাধ্যমেই কৃমি মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই বেকন বা শূকরের মাংস খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। শুধু ধুলেই হবে না ভাল করে সেদ্ধ করেও নিতে হবে। আধসেদ্ধ বেকন খেলেই নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তার মধ্যে অন্যতম ‘নিউরোসিস্টিসারকোসিস’। শূকরের চলাচলের স্থানে খালি পায়ে হাঁটলেও এই অণুজীব শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ওই ব্যক্তি যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম ‘নিউরোসিস্টিসারকোসিস’। এই ধরনের রোগে পরজীবী প্রাণী মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ডিম পাড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এর ফলে। ফিতাকৃমি মস্তিষ্কে ডিম পাড়ার পর থেকেই নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে।
চিকিৎসকেদের মতে, শৌচালয় ব্যবহার করার পরে হাত না ধুলেও অনেক সময় এই ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি হন। এই সংক্রমণ রুখতে খাবার খাওয়ার আগে ভাল করে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy