সম্পর্ক ভাল করতে, ভাঙতে বসা সম্পর্ককে আবার উজ্জীবিত করতে রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং-এর গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে। ব্যস্ত সময়ে দ্রুত ভাঙছে সম্পর্ক। অনেকেই এখন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে রিলেশনশিপ কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং-এর কাজ করতে পারে রোম্যান্টিক সিনেমা। সম্পর্ক ভাল করতে একসঙ্গে বসে কোনও রোম্যান্টিক সিনেমা দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদরা। তাঁদের মতে, একসঙ্গে বসে সম্পর্কের সিনেমা দেখা রিলেশনশিপ কাউন্সেলিংয়ের মতোই কার্যকর।
ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টার-এর গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিয়ে বা সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তৈরি সিনেমা একসঙ্গে বসে দেখলে তা রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং-এর কাজ করে। গবেষণার জন্য তাঁরা ১৭৪ জন দম্পতিকে তিন ভাগে ভাগ করেন। একদলকে এই ধরনের কিছু সিনেমার তালিকা দিয়ে বাড়িতে সপ্তাহে এক দিন একসঙ্গে বসে দেখতে একটি করে দেখতে বলা হয়। তার পরে কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় তাঁরা কী ভাবে নিজেদের জীবনের সমস্যার প্রতিফলন এই সিনেমায় দেখলেন। কনসাল্টিং অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তিন বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচ্ছেদ ২৪ থেকে ১১ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। থেরাপিস্টেদের সাহায্যে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সাফল্যের হারও একই।
আরও পড়ুন: ভাল থাকতে বছরে এক বার অবশ্যই বেড়াতে যান
ঠিক কী ভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি?
প্রতি সপ্তাহে এক দিন একসঙ্গে বসে রোম্যান্টিক সিনেমা দেখার জন্য সময় বের করতে হয়। মানে কোনও একটা স্পেশাল কাজ একসঙ্গে করা। রোম্যান্টিক সিনেমা আমাদের মুড রিল্যাক্সড করতে সাহায্য করে। এর ফলে একে অপরের সঙ্গে অনেক বেশি খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন, একে অপরকে বুঝতে পারেন। আবার যখনই আমরা সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে কথা বলি তখন ‘আমি’, ‘তুমি’-তে ভাগাভাগি হয়ে যায় অভিযোগ ও প্রতি অভিযোগ। কিন্তু সেই একই বিষয় নিয়ে সিনেমার কোনও চরিত্র সম্পর্কে আমরা অন্য ভাবে ভাবি।
ওই দম্পতির আসল সমস্যাটা কোথায়?
ওদের বন্ধুত্ব কি গভীর? ওরা কি জীবনের সব ওঠাপড়ায় একে অপরের পাশে থাকতে পারবে? ওরা কি সব সময় একে অপরকে বুঝতে পারছে? এই ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলোর খুঁজতে খুঁজতেই ‘আমি’, ‘তুমি’ থেকে নিজেদের ‘আমরা’ হিসেবে সমস্যা সমাধানের পথ ভাবতে শুরু করি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy