কবিরাজির জন্য দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দোকান হল আপনজন। ছবি- সংগৃহীত
‘ফিশ কবিরাজি’ খাওয়ার ইচ্ছা হলে আগে উত্তর কলকাতা ছাড়া একমাত্র বিকল্প ছিল ধর্মতলার ‘অনাদি কেবিন’। কারণ, উত্তর কলকাতা বাদে দক্ষিণ বা মধ্য কলকাতায় সবচেয়ে ভাল কবিরাজি খাওয়ার জায়গা বলতে ছিল এটিই। তবে শহরের আরও নানা জায়গায় উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জায়গাতেই পাওয়া যায় ফিশ কবিরাজি। তবে উপকরণ এক রকম হলেও সব দোকানের কবিরাজির স্বাদ তো এক রকম নয়। তাই কবিরাজি খেতে এবং খাওয়াতে কলকাতার উত্তর এবং দক্ষিণের সেরা পাঁচ জায়গার হদিস দেওয়া হল এখানে।
১) অ্যালেন্স কিচেন
ধর্মতলা চত্বরে অফিস। এক দিন সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে, মেট্রো করে চলে যান শোভাবাজার। বিকেল-সন্ধ্যার দিকে ঢুঁ মেরে আসুন অ্যালেন্স কিচেন থেকে। ১৩৯ বছর পুরনো এই দোকানের ‘ফিশ কবিরাজি’ মুখে লেগে থাকবে। একটু তেল বা ঘি বেশি, কিন্তু তাতে কী? এই কবিরাজি স্বাদ, গন্ধে অতুলনীয়। দামও বেশি নয়।
২) আপনজন
কবিরাজির জন্য দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দোকান হল আপনজন। কালীঘাট মেট্রো থেকে হেঁটেই চলে যাওয়া যায়। আকার, আয়তনে বেশ বড় ভেটকি মাছের পুর ভরা এই কবিরাজি পুরোটা এক জন খেতে পারবেন কিনা ভাবছেন? তা যদি না পারেন তারও উপায় আছে। এখানে ছোট, বড় এবং মাঝারি— নানা আকারের কবিরাজিই পাওয়া যায়।
৩) রাধুবাবুর চায়ের দোকান
লেক মার্কেট থেকে বাজার করতে গিয়ে কত বার যে রাধুবাবুর দোকান থেকে চা, ফিঙ্গার খেয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু বাড়ি ফিরে খেতে পারবেন না এই ভয়ে কোনও দিন ফিশ কবিরাজি খাননি। এক দিন সময় করে গিয়ে এই অপূর্ণ ইচ্ছেটাও মিটিয়ে ফেলতে পারেন। লেক মার্কেট থেকে রাসবিহারী মোড়ের দিকে যেতে, লেকমল শেষ হতেই বাঁ দিকে গলি। সেখানেই রাধুবাবুর দোকান।
৪) দাস কেবিন
ছুটির দিনে কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছেন গড়িয়াহাটে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে পরে তো বটেই, সাধারণ ছুটির দিনেও থিকথিকে ভিড় সেখানে। ভিড় সামলে আর কিছু কিনে উঠতে না পারলেও গড়িয়াহাট থেকে গোলপার্ক যাওয়ার পথে দাস কেবিনের ফিস কবিরাজি খাওয়া কিন্তু ‘মাস্ট’।
৫) মিত্র ক্যাফে
উত্তর কলকাতায় গেলে অতি অবশ্যই এক বার ঢুঁ মারতে হবে মিত্র ক্যাফেতে। অ্যালেনের পাশাপাশি, ১১৩ বছরের পুরনো মিত্র ক্যাফের ফিস কবিরাজিও কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। তাই এক বার চেখে দেখা যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy