ভাগ্যশ্রীর নিদান। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের মরসুম জুড়েই বিয়েবাড়ি। বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয় মিলিয়ে গোটা দশেক নিমন্ত্রণ তো আছেই। কিছু খাবেন না ভেবেও চোখের সামনে লোভনীয় সব খাবার দেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারছেন না। অল্প হলেও খেয়ে ফেলছেন। যার ফলে পেটের হাল খারাপ হচ্ছে। এই কারণে রোজ রোজ ডাক্তারের কাছে ছুটতেও খারাপ লাগছে। এই সমস্যার টোটকা দিয়েছেন ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেখানেই ভাগ্যশ্রী বলেন, পেটের যে কোনও রকম সমস্যায় তাঁর ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’ হল টক দই। পেটখারাপ, আমাশা, গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই টোটকা। পেট ভাল রাখা ছাড়াও নিয়মিত টক দই খাওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে।
১) ত্বকের জন্য ভাল
দইয়ের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। ত্বকের জন্য এক্সফোলিয়েটর হিসাবে টক দই দারুণ কাজের। প্যাক হিসাবে মুখে মাখলে ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হয় না।
২) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
প্রোটিন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগেশিয়ামের মতো খনিজে ভরপুর টক দই। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই টক দই খেয়ে থাকেন।
৩) হাড় মজবুত করে
একটা বয়সের পর সকলেরই হাড়ের জোর কমতে থাকে। খাবারের মধ্যে দিয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়ামের জোগান দিতে নিয়মিত টক দই খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।
৪) ওজন ঝরাতে
দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ‘খারাপ’ কর্টিজ়ল হরমোন। এই হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে আবার ক্যালশিয়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই টক দই খাওয়া এ ক্ষেত্রেও ভাল।
৫) চনমনে ভাব বজায় রাখতে
টক দইয়ের মধ্যে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। তাই চটজলদি ক্লান্তি কাটাতে পারে টক দই। পুষ্টিবিদেরা বলেন, শরীরচর্চা করার পর কফি বা অন্যান্য পানীয় না খেয়ে ঘোল, ছাস খাওয়া যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy