প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক নানা নিয়ম মেনে চলতে বলেন। কিছু মানা হয়। কিছু সম্ভব হয় না। তা নিয়ে অপরাধবোধ তাড়া করে। মন অশান্ত হয়। মনে হয় পর দিন থেকে মানবেন। কিন্তু সূর্য ডোবার সময়ে খেয়াল হয়, এই দিনটিও ঠিক আগের দিনের মতো করেই কেটে গেল। কিন্তু সে সব কথা কি চিকিৎসকের কাছে পরের বার গিয়ে স্বীকার করেন? নাকি বলেন মেনেই চলেছেন সব কথা?
চিকিৎসকের কাছ থেকে নিজের খাওয়াদাওয়া, জীবনধারার বিষয়ে সত্য গোপন করার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা দেয়। কিন্তু তা থেকে কি আদৌ কোনও লাভ হয়? জেনে রাখা জরুরি, এতে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। বরং চিকিৎসকের কাছে সত্যি বলার অভ্যাস করলে কিছু সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
কী কী সুবিধা হতে পারে নিজের খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করলে?
১) সবের আগে সুবিধা হল নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। যদি চিকিৎসককে সত্যি বলার অভ্যাস থাকে, তবে তাঁর পরামর্শ মেনে চলার অভ্যাস কিছুটা হলেও বজায় থাকবে।
২) নিয়ম মেনে চলা যে সম্ভব হচ্ছে না, সে কথা চিকিৎসকের কানে গেলে তিনি সাহায্য করতে পারেন। নিয়মে কিছু বিজ্ঞানসম্মত বদল আনতে পারেন ডাক্তার।
৩) অনেক ওষুধ খেলে কিছু কিছু খাবার বন্ধ রাখতে হয়। কোনও খাবার হয়তো আপনি বাদ দিয়ে চলতে পারছেন না। তাই লুকিয়ে খাচ্ছেন। চিকিৎসক সে কথা জানতে পারলে প্রয়োজনে কিছু ওষুধ বদলেও তো দিতে পারেন।
৪) ধরুন একটি ওষুধে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে ওই ওষুধ চলাকালীন মিষ্টি খাওয়া বাদ দিতে বলেছেন চিকিৎসক। তাঁর জানা দরকার যে আপনি সে নিয়ম মানতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেয়ে ফেলছেন। তা হলে হয়তো ডাক্তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্য উপায়ও বলতে পারেন।
এ সব সাহায্য পাওয়া সম্ভবই হবে না যদি চিকিৎসকের কাছে নিজের খাদ্যাভ্যাস গোপন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy