২০১২ সালের তুলনায় গত বছর মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও তাতে আত্মসন্তুষ্টির যে কোনও কারণ নেই, কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া পুরসভা-সহ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অফিসারদের তা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিশু ও নারী কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ, হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী প্রমুখ।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভার গৃহীত ব্যবস্থাকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি পুর-এলাকায় মশা মারার কাজ হবে। রোগ নিরাময়ের চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জরুরি হিসেবে মাথায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া বাড়ায় আতঙ্ক বাড়ে রাজ্য জুড়ে। কলকাতা ও বিধাননগরেও ওই দুই রোগে আক্রান্তের হার বাড়ায় চিন্তায় পড়ে সরকার। রোগ দমনে পুরসভার কাজ দেরিতে শুরু হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। এর পরেই বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের কাজে জোর দেওয়ার জন্য কলকাতা পুরসভা-সহ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অফিসারদের নির্দেশ দেন তিনি। এ দিনের বৈঠকেও বছরের শুরু থেকেই কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, মশার বংশবৃদ্ধি রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নীতি মেনে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি কেন্দ্রগুলিতে ওই দুই রোগের চিকিৎসার ওষুধ মজুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় অস্ত্র জোরদার প্রচার। এ ব্যাপারে কলকাতা পুরসভার প্রচার ব্যবস্থার প্রশংসা করা হয়। অন্যত্র সে ভাবেই প্রচারের কাজ করার দিকে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy