ডেঙ্গি রুখতে আজ, রবিবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নিয়ে মহকুমা পরিষদের হলে বৈঠক ডাকল স্বাস্থ্য দফতর।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের থাকার কথা। শিলিগুড়ির সংযোজিত ১৪ টি ওয়ার্ড জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। নার্সিংহোমগুলির একাংশ ওই সমস্ত ওয়ার্ডেও রয়েছে। তাই জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও থাকবেন। ডেঙ্গির হয়েছে কি না, তা জানতে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ছাড়া শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও রয়েছে। তাই বাসিন্দারা যাতে বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলির খপ্পরে না পড়েন বা ওই সমস্ত ল্যাবরেটরিগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত ফি নেওয়া না হয় সেই বিষয়টি নিয়েও এ দিন বৈঠকে আলোচনা হবে। শিলিগুড়ির খালপাড়ার দু’টি নার্সিংহোমে এখনও ৭ জন রোগী ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলি থেকে ডেঙ্গি সন্দেহ হলে রোগীদের রক্তের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এ দিকে, স্বাস্থ্য দফতর শুক্রবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তার ২৪ ঘন্টা পরেও রিপোর্ট পেলেন না পবন অগ্রবালের পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাদের জানানো হয়েছে, আজ, রবিবার রিপোর্ট মিলবে।
শনিবার পবনবাবু কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও তাঁর ভাইপো শুভম অগ্রবাল এবং তাঁর বৌমা কাঞ্চন দেবী জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েছেন। পরিবারের দুই কিশোরী অঞ্চিতা ও পূজাও অগ্রবাল শয্যাশায়ী। প্রাথমিক পরীক্ষায়, পবনবাবু-সহ পরিবারের ৫ জনের রক্তে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুক্রবারই ফের শুভম, কাঞ্চনদেবী বা অঞ্চিতার রক্ত পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করানো হয়। পবনবাবু বলেন, “আমি কিছুটা সুস্থ বোধ করছি। তবে পরিবারের যে তিন জনের রক্তের নমুনা স্বাস্থ্য দফতর সংগ্রহ করেছে, তার রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাই চিন্তায় আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy