Advertisement
E-Paper

ত্রিপুরায় ভেজাল ওষুধ নিয়ে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট

ভেজাল ওষুধ-কাণ্ডে ফের অস্বস্তির মুখে ত্রিপুরা সরকার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক সিনহা জানান, জনস্বার্থ মামলাটির গুরুত্ব স্বীকার করে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৪ ০৭:০৮

ভেজাল ওষুধ-কাণ্ডে ফের অস্বস্তির মুখে ত্রিপুরা সরকার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক সিনহা জানান, জনস্বার্থ মামলাটির গুরুত্ব স্বীকার করে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ নোটিস জারি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভেজাল ওষুধ-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকার, হিমাচল প্রদেশ সরকার, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বর্ধমান ফার্মা, ত্রিপুরা সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথম শীর্ষ আদালত ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করেছে।’’

উল্লেখ্য, গুয়াহাটির কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের ‘রিপোটর্’ পাওয়ার কয়েক মাস পর ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর ‘লিখিত নির্দেশ’ দিয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ওই সংস্থার কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার না-করার নির্দেশ দেয়। নিম্নমানের ওষুধগুলির গুণাগুণ নিয়ে উপযুক্ত পরীক্ষাগারের রিপোর্ট পাওয়ার আগে, স্বাস্থ্য দফতর তা ব্যবহারের জন্য কেন হাসপাতালে পাঠিয়েছিল, সে প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধিকর্তা সত্যব্রত দেববর্মা ওই সময়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা স্থানীয় থানায় হিমাচল প্রদেশের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন।

সত্যব্রতবাবু বলেন, “মামলাটি সিআইডি-র হাতে রয়েছে। এখনও রাজ্য সরকারের কাছে সিআইডি এ নিয়ে কোনও রিপোর্ট পাঠায়নি।’’

প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের কয়েক জন উচ্চপদস্থ কর্মীর সঙ্গে ওষুধ সংস্থার ‘অশুভ আঁতাঁত’ রয়েছে। দুর্নীতি ঢাকতেই এ নিয়ে গড়িমসি করছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তাঁর দফতরের কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেননি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই স্বাস্থ্য দফতরে সরবরাহ হওয়া ওষুধগুলির মধ্যে দু’একটি নিম্নমানের বলে ধরা পড়ে। পরীক্ষাগারের রিপোর্ট পাওয়ার পর দফতর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।’’

adulterated medicines supreme court notice agartala bardhaman farma
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy