তদন্তে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।—নিজস্ব চিত্র।
দুই প্রসূতির মৃত্যুতে সোমবার উত্তেজনা ছড়িয়েছিল আরামবাগ হাসপাতালে। তাঁদের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও মৃত্যুর তদন্তে মঙ্গলবার হাসপাতালে যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের চার জনের প্রতিনিধি দল। আলাদা ভাবে হাসপাতালে আসেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কিছু চিকিত্সকও। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন বিধানসভার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান তথা উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি।
দু’টি দলই সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক, নার্স এবং অপারেশন থিয়েটারের কর্মীদের দফায় দফায় ডেকে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চায়। বৈঠকের পর নির্মলবাবু জানান, ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত শুরু হয়েছে। কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। প্রায় একই কথা জানায় স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দলটিও। এ দিন হাসপাতালে যান হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তনিমা মণ্ডল, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা প্রমুখ।
আরামবাগের গৌরহাটির বাসিন্দা লতা হাজরা এবং গোঘাটের বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাজিনা বেগম নামে ওই দুই প্রসূতিকে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয় সাজিনার। লতা মৃত সন্তান প্রসব করেন এবং তার পরে মারা যান বলে হাসপাতালের দাবি। সুপার জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচারের পরে দুই প্রসূতিরই খিঁচুনি হচ্ছিল। তা থামানো যায়নি। তার জেরেই দু’জনের মৃত্যু হয় বলে চিকিত্সকেরা তাঁকে রিপোর্ট দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy