শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। দাসপুরের নন্দনপুর সংলগ্ন সইদকরিম গ্রামের এই ঘটনায় অসুস্থরা ক্রমে সুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেও শুরু করেছেন।
বুধবার ওই গ্রামে শঙ্কর হুতাইতের বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় তিনশো জন। প্রথমে যে জনা পঞ্চাশেক খাবার খেয়েছিলেন, তাঁদের কিছু হয়নি। বাকি সব নিমন্ত্রিতই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের বমি-পায়খানা হচ্ছিল, সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা। বুধবার রাতেই প্রায় একশো জন দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পঞ্চাশ জনকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গ্রামেও খোলা হয় মেডিক্যাল ক্যাম্প। খবর পেয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কপূর-সহ প্রশাসনিক কর্তারা গ্রামে ও হাসপাতালে যান। দু’টি হাসপাতালেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে মেঝেতে রেখে তাঁদের চিকিত্সা শুরু হয়। এখনও দুই হাসপাতালে জনা পনেরো রোগী ভর্তি রয়েছেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ওই গ্রামের লোকজন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু রয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সইদকরিম গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে বিলি হচ্ছে ওষুধ এবং ব্লিচিং পাউডার। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা শঙ্কর হুতইতের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, নিমন্ত্রণ বাড়িতে পরিবেশিত দই থেকেই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। প্রথম ৫০ জন নিমন্ত্রিতকে যে দই দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়ে গেলে অন্য ভাঁড় খোলা হয়। অনুমান সেই ভাঁড়ের দই থেকেই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy