Advertisement
E-Paper

পর্যাপ্ত চিকিত্‌সকের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বন্ধ জরুরি বিভাগ

কাছেপিঠে হাসপাতাল বলতে প্রায় ২০ কিমি দূরের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল বা ১০ কিমি দূরের মঠের দিঘি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাই বিপদে-আপদে রাত-বিরেতে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলার মৌখালি, ঝোড়োর মোড়, ভবেনের হাট, জীবনতলা, হাওড়ামারি প্রভৃতি এলাকার মানুষদের চিকিত্‌সার জন্য ভরসা করতে হয় জীবনতলার খুঁচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৮
জীবনতলার বহু মানুষের ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।—নিজস্ব চিত্র।

জীবনতলার বহু মানুষের ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।—নিজস্ব চিত্র।

কাছেপিঠে হাসপাতাল বলতে প্রায় ২০ কিমি দূরের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল বা ১০ কিমি দূরের মঠের দিঘি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

তাই বিপদে-আপদে রাত-বিরেতে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলার মৌখালি, ঝোড়োর মোড়, ভবেনের হাট, জীবনতলা, হাওড়ামারি প্রভৃতি এলাকার মানুষদের চিকিত্‌সার জন্য ভরসা করতে হয় জীবনতলার খুঁচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে। অথচ বহু মানুষের ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চিকিত্‌সক নেই। নেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মী। ফলে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ থাকলেও তার যথাযথ সুবিধা নিতে পারছেন না এলাকার সাধারণ মানুষ।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ন্যাশনাল হেল্প মিশনের অধীনে দু’জন চিকিত্‌সক ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা চাকরি পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সব রকমের পরিষেবা। বর্তমানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য গোসাবা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অন্তরা দাস বিশ্বাস নামে এক চিকিত্‌সককে নিয়ে এসে অস্থায়ী ভাবে বহির্বিভাগ চালানো হচ্ছে। তার কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের জন্য বহির্বিভাগ চালু থাকছে। অন্য দিকে, বর্তমানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিন জন নার্স থাকলেও চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মী নেই। নেই কোনও সাফাই কর্মীও। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে দিয়ে সাফাইয়ের কাজ করানো হয়। এর ফলে প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মনিরা বিবি বলেন, “রাতে আমার বোনের প্রসব যন্ত্রণা উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলাম। দেখি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ। বাধ্য হয়ে বোনকে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি করাই।” একই রকমের অভিজ্ঞতা এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদেরও।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা সম্পর্কে ক্যানিং-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সওকাত মোল্লাকে প্রশ্ন করা হলে সমস্যার কথা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্‌সক না থাকায় রোগীদের ঠিকঠাক পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হরিপদ মাঝিও। একই প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, “ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সব চিকিত্‌সক এক সঙ্গে চাকরি ছাড়ায় সমস্যা হচ্ছে। নতুন চিকিত্‌সকের জন্য স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান মিলবে।”

jibantala block medical centre canning doctors emergency unit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy