Advertisement
E-Paper

যন্ত্র ও টাকা পড়ে, মিলছে না পরিষেবা

টাকা রয়েছে। রয়েছে যন্ত্রপাতিও। তবু থমকে উন্নয়ন। কোনও সাধারণ পরিষেবা নয়, মানুষের বাঁচা-মরা জড়িয়ে রয়েছে যার সঙ্গে, সেই চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও এই দশা! তাও আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যার দিকে দুই মেদিনীপুর তো বটেই আশপাশের জেলার মানুষও নির্ভরশীল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৪:৪৯
মেশিন এলেও চালু হয়নি নতুন এক্স-রে বিভাগ। —নিজস্ব চিত্র

মেশিন এলেও চালু হয়নি নতুন এক্স-রে বিভাগ। —নিজস্ব চিত্র

টাকা রয়েছে। রয়েছে যন্ত্রপাতিও। তবু থমকে উন্নয়ন।

কোনও সাধারণ পরিষেবা নয়, মানুষের বাঁচা-মরা জড়িয়ে রয়েছে যার সঙ্গে, সেই চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও এই দশা! তাও আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যার দিকে দুই মেদিনীপুর তো বটেই আশপাশের জেলার মানুষও নির্ভরশীল।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে দ্রুত গতিতে কাজ হল বলতে পুকুর সংস্কার, সঙ্গে সৌন্দর্যায়ন। বৃহস্পতিবারই এর উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায়। এ কথা ঠিক যে অপরিচ্ছন্ন পুকুর থেকে নানা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ফলে, মেডিক্যাল চত্বরের ওই পুকুর আর তার চারপাশ সংস্কারও জরুরি ছিল। কিন্তু তার থেকেও কি বেশি জরুরি নয় ৮০০ এমএম এক্স-রে মেশিন চালু করা, সিরাম সেপারেটর যন্ত্র বসানো, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি তৈরি করা বা সিসিইউ-এর উন্নীতকরণ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই যন্ত্র রয়েছে, টাকাও পড়ে রয়েছে। তবু কাজ হয়নি। অভিযোগ, হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মী-চিকিৎসক ও আধিকারিকের সঙ্গে নার্সিংহোম বা প্যাথোলজি সেন্টারগুলির অশুভ আঁতাতের জন্যই এ সব করা হচ্ছে। যদিও তা মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। হাতপাতালের সুপার যুগল কর বলেন, “আমরা সব কিছুই করার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সেই কাজগুলি করতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জটিলতা হচ্ছে। ফলে কাজ কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।”

মেদিনীপুর মেডিক্যালেও ১০০ এমএম এক্সরে মেশিন দিয়েই এক্সরে করা হয়। ওই যন্ত্রের ক্ষমতা নিতান্তই অল্প। ফলে সারাদিনে গুটিকয় ব্যক্তির এক্সরে করা যায়। তাই ৮০০ এমএম এক্সরে মেশিন আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বছর দু’য়েক আগে। যন্ত্রটি এসেও গিয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি। রয়েছে সিরাম সেপারেটর, ডাই-ইলেকট্রিক টিউব সিলার, প্লাজমা থাউঙ বাথ (plasma thawing bath), কগুলোমিটার (coagulometer)-সহ বিভিন্ন যন্ত্র। অভিযোগ, বহু যন্ত্রই আসার পর দীর্ঘদিন পড়ে থাকে।

সিসিইউ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও এক সমস্যা। বর্তমানে এই বিভাগে মাত্র ৬টি শয্যা রয়েছে। অথচ, বিভাগটি ২০ শয্যায় উন্নীতকরণের ঘোষণা হয়েছে অনেক আগেই। প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকাও মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। বলা হচ্ছে, ঠিকাদার মিলছে না। দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির জন্য প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা এসেছে। কিন্তু জায়গা মেলেনি বলে কাজ হয়নি । প্রসূতি বিভাগের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়েছে। রেডিওথেরাপি ইউনিটের কাজ শেষ হলেও তা চালু করা যায়নি বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে। মাদার চাইল্ড হাবের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা এসেও পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সবে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ রকম নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু না হওয়ায় ভুগছেন রোগীরা। গাদাগাদি করে ওয়ার্ডে পড়ে থাকতে হচ্ছে, সামান্য পরীক্ষার জন্যও বেশি টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে বেসরকারি প্যাথোলজি সেন্টারে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য আশ্বাস, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দ্রুত পরিষেবা চালুর চেষ্টা চলছে।

medinipur medical college unavailable service medinipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy