বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “এক জন ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতালে গিয়ে যাতে ঘটনার তদন্ত করেন, সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দ্রুত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।”
তালড্যাংরার মান্ডি গ্রামের থ্যালাসেমিয়া-আক্রান্ত দীপঙ্কর রায় নামে বছর পনেরোর ওই কিশোরকে পেটের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে সোমবার সকালে ভর্তি করানো হয়েছিল বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। সকাল আটটা নাগাদ ‘কলবুক’ পাঠালেও যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ‘কলবুক’টি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা, তিনি তা করেননি। অভিযোগ, দীপঙ্করের বাবা চিকিৎসককে ডেকে আনার জন্য বারবার কাকুতিমিনতি করলেও কর্তব্যরত নার্সরা তাতে কান দেননি। এই ভাবে কেটে যায় পাঁচ ঘণ্টা। শেষে দুপুর দেড়টা নাগাদ মেল ওয়ার্ডে রাউন্ড দেওয়ার সময় ওই চিকিৎসকের কাছে ছেলেকে কোলে নিয়ে হাজির হন দীপঙ্করের বাবা গৌতম রায়। ততক্ষণে অবশ্য ছেলেটি নেতিয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় দীপঙ্কর। ছেলের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের গাফিলতিকে দায়ী করে মৃতের পরিবারের সঙ্গে সুপারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান ‘বিষ্ণুপুর থ্যালাসেমিক গার্জেন সোসাইটির সদস্যরা’। মহকুমাশাসক এবং বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস এ দিন বলেন, “ঘটনার তদন্তের জন্য আমরা দুই সদস্যের একটি কমিটি গড়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।” ওই কমিটিতে আছেন হাসপাতালের সুপার তথা এসিএমওএইচ (বিষ্ণুপুর) এবং ডেপুটি সিএমওএইচ-২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy