Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আলিগড়ের দুই ছাত্র আইসিইউয়ে

জামিয়া এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য জানিয়ে দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষাবিদের সই-সংবলিত একটি বিবৃতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
আলিগড় শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৯
Share: Save:

দেশ জুড়ে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপরে দিল্লি পুলিশের নিপীড়ন নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তখন প্রকাশ্যে এল ছাত্র-নির্যাতনের উত্তরপ্রদেশ পুলিশও কিছু পিছিয়ে নেই তাদের থেকে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এসে তেমন ছবিই খুঁজে পেয়েছেন আন্দোলনকারী এবং প্রাক্তন আমলা হর্ষ মান্দের।

তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘গত কাল হতাশাজনক দিন কাটল আলিগড়ে। পড়ুয়াদের উপরে অত্যাচার এবং তাঁদের আহত অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জামিয়ার পুলিশি নির্যাতনের তুলনায় এখানে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জের মতো ওদের একা ফেলে রেখেছে।’’ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মাসকুর উসমানি একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, এক পড়ুয়া মাটিতে পড়ে রয়েছেন। মাসকুর লিখেছেন, ‘‘মোদী/যোগীর পুলিশের সামনে পড়ে রয়েছে গণতন্ত্র আর ভিন্নমত।’’

আরও পড়ুন: মুক্ত চিন্তা এবং নির্ভীক সাংবাদিকতার পক্ষে সরব প্রণব

জামিয়া এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য জানিয়ে দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষাবিদের সই-সংবলিত একটি বিবৃতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন নোয়াম চমস্কিও। সমাজতত্ত্ববিদ নন্দিনী সুন্দরও পরপর টুইটে লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি লিখেছেন, ‘‘আলিগড় থেকে ফিরে এলাম। মাথায় আঘাত নিয়ে দু’জন পড়ুয়া আইসিইউয়ে ভর্তি। স্টান গ্রেনেডে হাত উড়ে গিয়েছে, এমন দু’জন রয়েছেন প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে। অল্পস্বল্প আঘাত পেয়েছেন আরও ৭০ জন। পরে নিশানা করা হতে পারে এই ভয়ে তাঁরা সরকারি জায়গায় চিকিৎসা করাতে আসেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Aligarh Muslim University AMU Aligarh Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE