Advertisement
E-Paper

চাকরি নেই রোহিতের, বউয়ের বিরিয়ানি তো আছে, তাতেই বাজিমাত

এখন আর চাকরি হারানোর জন্য আক্ষেপ নেই রোহিতের। তিনি বলেন, রজনীর বিরিয়ানিই সংসারটা বাঁচিয়ে দিল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ১৬:১৫
বিরিয়ানির পসরা নিয়ে রজনী-রোহিত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি।

বিরিয়ানির পসরা নিয়ে রজনী-রোহিত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি।

সংসারটা ভেসে যেত। কিন্তু তা হয়নি। রোহিতের চাকরিটা চলে যাওয়ার পরে সেটা হতে দেননি রজনী। নিজের রান্নার শখকে কাজে লাগিয়ে মেটালেন অর্থের অভাব। বাঁচিয়ে দিলেন সংসার।

করোনার জেরে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে বহু মানুষই কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ রোজগারের অন্য উপায় খুঁজে নিয়েছেন। কেউ কেউ এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাঁদের প্রেরণা দিতে পারে রোহিত সরদনা ও রজনীর কাহিনি। দিল্লিতে বাস এই দম্পতির। স্বামী রোহিতের চাকরি চলে যায় লকডাউনের সময়ে। আর পাঁচটা সংসারের মতো এঁদের ক্ষেত্রেও প্রথমে সংসার চালানো নিয়ে চিন্তা শুরু হয়। কিন্তু উপায়টা বের করে ফেলেন রজনী। মনে পড়ে যায়, সে যে খুবই ভাল বিরিয়ানি রাঁধতে পারে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। প্রথমে রজনী একা আর পরে রোহিতও হাত লাগায়। এখন বিরিয়ানির দৌলতে তাঁরা রীতিমতো জনপ্রিয়।

রোহিত কাজ করতেন একটি প্রসাধনী সামগ্রীর সংস্থায়। লকডাউনে ওই সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই হয়‌। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে অথৈ জলে পড়েন রোহিত। সেই সময়ে রজনী ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসেন। ঠিক করেন বাড়িতে যে ভেজ বিরিয়ানি তৈরি হয় সেটাই বানাবেন আর বিক্রি করবেন। রজনীর যুক্তি ছিল, বাড়িতে ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন সবাই যখন তাঁর হাতের বিরিয়ানি পছন্দ করে তখন ক্রেতাও মিলবে। সেই ভাবনা থেকেই রজনী নিজের রেসিপিতেই বিরিয়ানি তৈরি শুরু করেন। প্রথম দিকে একটু আধটু বিক্রি হলেও এখন ব্যবসা জমে গিয়েছে।

রজনীর এখন অনেক কাজ। সকাল থেকে হাঁড়ি হাঁড়ি বিরিয়ানি রাঁধতে হয়। তার পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে নিজেদেরই গাড়িতে করে বিক্রি করতে বার হয়ে যান। ঘরোয়া বিরিয়ানির স্বাদ আর কম দাম। এটাই ইউএসপি। আর তাতেই হিট রজনীর বিরিয়ানি।

আরও পড়ুন: ১৯ বছর ধরে দোকান থেকে জিনিস চুরি করে ২৮ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন মহিলা, তবে...

আরও পড়ুন: এমন পোষ্য নিয়ে হাঁটতে বেরলেন যুবক, পুলিশ খবর দিলেন পথচারীরা

রজনী জানিয়েছেন, এখন রোজ ভোর ৫টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠতে হয়। প্রায় চার ঘণ্টা লাগে বিরিয়ানি রাঁধতে। এরপরে সেই বিরিয়ানি নিয়ে তাঁরা গাড়িতে করে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট জায়গায়। সাড়ে দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলে অস্থায়ী দোকান। কোনও কোনও দিন তার আগেই শেষ হয়ে যায়। এখন আর চাকরি হারানোর জন্য আক্ষেপ নেই রোহিতের। তিনি বলেন, রজনীর বিরিয়ানিই সংসারটা বাঁচিয়ে দিল।

Viral video Biryani Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy