অভিনেত্রী-রাজনীতিক খুশবু— ফাইল চিত্র।
তামিল চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর সোমবার সকালে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। দুপুরে দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে হাজির হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মশিবিরে শামিল হলেন এআইসিসি-র অন্যতম মুখপাত্র খুশবু।
এ দিন সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে খুশবু দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘দলের উঁচু পদে এমন লোকেরা বসে রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতি বা মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই। আর যাঁরা দলের জন্য সত্যিই কাজ করছেন, তাঁদের দাবিয়ে রাখা হচ্ছে’।
সংবাদমাধ্যমে সেই চিঠি প্রকাশিত হওয়ার পরেই দলের মুখপাত্রের পদ থেকে খুশবুকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা ভোট। তার আগে খুশবুর দলত্যাগ কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। শুধু তামিলনাড়ু নয়, দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতেও এই তামিল অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দলেই বিপ্লবের মুখে বিপ্লব, নালিশ জানাতে দিল্লি দরবারে সুদীপ
অভিনয় ও রাজনীতির পাশাপাশি তামিল নাগরিক আন্দোলনেও বিভিন্ন সময়ে জড়িত ছিলেন খুশবু। অতীতে তামিল জনসমাজে ‘বিবাহপূর্ব যৌনতা’ নিয়ে তাঁর মন্তব্য বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। ২০১০ সালে ডিএমকেতে যোগ দিয়ে খুশবুর রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা। ২০১৪-র নভেম্বরে তিনি কংগ্রেস যোগ দেন। এর কিছুদিন পরেই এআইসিসির মুখপাত্র পদ পান তিনি।
তামিলনাডুর বিধানসভা ভোটে শাসকদল এডিএমকের সঙ্গে বিজেপির আসন-রফা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, প্রধান বিরোধীদল ডিএমকে এখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের শরিক। তামিলনাড়ুর দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির পর্যবেক্ষক দীনেশ গুন্ডু রাও এ দিন বলেন, ‘‘খুশবুর দলত্য়াগে তামিল রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে জমি বিবাদের জেরে মন্দিরের পুরোহিতকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy