Advertisement
E-Paper

অখিলেশ ও মায়ার জোট ঘোষণা আজই

উত্তরপ্রদেশে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে মায়াবতীর জন্মদিনে, আগামী ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু ‘বুয়া-ভাতিজা’ দু’জনেই যখন রাজি, তখন বিলম্বে কাজ কী!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০১

ঠিক ছিল, উত্তরপ্রদেশে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে মায়াবতীর জন্মদিনে, আগামী ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু ‘বুয়া-ভাতিজা’ দু’জনেই যখন রাজি, তখন বিলম্বে কাজ কী! কালই লখনউয়ে তাজ হোটেলে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কাজটা সেরে ফেলবেন মায়াবতী ও অখিলেশ সিংহ যাদব।

অখিলেশ আজ বলেন, ‘‘গত বছর উত্তরপ্রদেশে তিনটি উপনির্বাচনের (অভিন্ন প্রার্থী দেওয়ার) ফলই এই বন্ধন গড়েছে। বিজেপিই আমাদের জুড়তে সাহায্য করেছে।’’ স্ত্রী ডিম্পল যাদবের নির্বাচনী এলাকা কনৌজে এক জনসভায় অখিলেশ ব্যখ্যা দেন, ‘‘আমরা সমাজবাদীরা ভাবলাম, উন্নয়নের প্রশ্নে তো আমরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু আসনসংখ্যা বাড়ানো যায় কী ভাবে! এই সংখ্যার বিষয়টি ঠিক করে নিতেই দেখা গেল বিজেপি তার শক্তিশালী ঘাঁটিতেও হেরে যাচ্ছে।’’ অখিলেশের কথায়, ‘‘গোরক্ষপুরে (যোগী আদিত্যনাথের ডেরায়) নিষাদ পার্টি এবং কৈরানায় রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)-এর সঙ্গে জোট করাটা বিজেপিকে হারাতে খুবই কাজে এসেছে।’’

দু’দলের হাত ধরার পিছনে সিবিআই তদন্তের জুজুও কাজ করছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ, এই দু’দলের জোটের ছবিটা সামনে আসতেই অখিলেশের বিরুদ্ধে বালি খননের পুরনো মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। যার জেরে বেনজির ভাবে দু’দলের সাংসদ একত্রে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন সংসদ চত্বরে। পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেসও।

আরও পড়ুন: মঞ্চে মোদী উঠতেই ঝিমিয়ে গেল তালি!​

সম্প্রতি দিল্লিতে মায়াবতীর বাসভবনে বৈঠক করেন অখিলেশ। সেখানেই জোটের বিষয়টি স্পষ্ট চেহারা নেয়। স্থির হয়, এসপি-বিএসপি ৩৭টি করে আসন রেখে ৬টি আসন আরএলডি, নিষাদ পার্টির মতো ছোট দলের জন্য রাখবে। আর অমেঠী এবং রায়বরেলী ছেড়ে দেওয়া হবে সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধীর জন্য। অখিলেশের কথায়, ‘‘বারবার যে দু’টি আসনে কংগ্রেস জিতে এসেছে, সেগুলি ওদের জন্যই ছেড়ে রেখেছি।’’ বাকি ৬টি আসন থেকে আরও এক-দু’টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে চাইছে এসপি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে পরোক্ষ সমঝোতার প্রসঙ্গে অখিলেশ আজ বলেন, ‘‘আগে এসপি-বিএসপি-র বিষয়টি চূড়ান্ত হোক।’’

২০১৪-তে প্রবল মোদী হাওয়ায় বিজেপি রাজ্যে ৮০টির মধ্যে ৭১টি আসনে জিতেছিল। এসপি নেতাদের দাবি, রাজ্যের প্রধান দুই শক্তি এক সঙ্গে লড়লে বিজেপি ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। ঠিক এই অঙ্কেই, কংগ্রেসও আসন নিয়ে কোনও চাপাচাপি করছে না। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে গোহারা হেরেছে এসপি। লোকসভা ভোটে তাদের কার্যত সরিয়ে রেখে জোট করার প্রশ্নে কংগ্রেসেরও ব্যখ্যা এসপি-বিএসপির ভোটে এক দিকে ঝুলিতে গেলে তাতেই বিজেপিকে বেশি আসনে হারানো সম্ভব হবে।

রাজ্যের কুর্সি নিয়ে পরস্পরের টক্কর চললেও এসপি-বিএসপি জোটের তেমন প্রভাব পড়বে না উত্তরপ্রদেশের বাইরে। কিন্তু সব চেয়ে বেশি আসন বলে, দিল্লির মসনদে কে বসবে তা নির্ভর করে এসেছে উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের উপর। এক এসপি নেতার কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশ গেরুয়াশূন্য করতে পারলে দিল্লিতে সরকার গড়ার প্রশ্নে যে ধাক্কাটা খাবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা, অন্য রাজ্য থেকে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আর সেটাই এই জোটের লক্ষ্য।’’

Alliance SP BSP Akhilesh Yadav Mayawati
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy