Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

‘আজাদি’র স্বপ্ন ভুলে যান, কাশ্মীরী যুবদের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

আজাদির লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে যখন নতুন করে তরুণদের দলে টানতে শুরু করেছে কাশ্মীরের জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি, তখনই ওই কড়া বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত।- ফাইল চিত্র।

সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত।- ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ১৭:৫৩
Share: Save:

সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে জেতা যাবে না। কোনও দিনই সত্যি হবে না আজাদির স্বপ্ন। তাই সে কথা ভুলে যান।

আজাদির লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে যখন নতুন করে তরুণদের দলে টানতে শুরু করেছে কাশ্মীরের জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি, তখনই ওই কড়া বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত।

সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জেনারেল রাওয়ত বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরী যুবকদের এটা আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আজাদি অসম্ভব। এটা কোনও দিনই হবে না। কেন আপনারা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন। আজাদির জন্য যাঁরা লড়ছেন, লড়বেন, কাশ্মীরকে যাঁরা ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাবেন, সেনাবাহিনী তাদের ছেড়ে কথা বলবে না। তাদের বিরুদ্ধে লড়বে। ওটা (আজাদি) কোনও দিনই আসবে না।’’

সেনাপ্রধান বলেছেন, তিনি জানেন, কাশ্মীরী যুব সম্প্রদায়ের একটা অংশ ক্ষুব্ধ। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে, পাথর ছুড়ে কিছুই হবে না। তাই ‘আজাদির স্বপ্নে ভেসে যেতে’ কাশ্মীরী যুবকদের নিষেধ করেছেন সেনাপ্রধান রাওয়াত।

আজাদির লড়াইকে ফের চাঙ্গা করে তুলতে কাশ্মীরী যুব সম্প্রদায়কে ফের দলে টানার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে। দিনকয়েক আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘হিজবুল মুজাহিদিন’-এ যোগ দেন কাশ্মীরী অধ্যাপক মহম্মদ রফি ভাট। তার দিনদু’য়েকের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অধ্যাপক ভাটের।

আজাদির ‘ভুয়ো স্বপ্ন’ দেখিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যে ভাবে নতুন করে কাশ্মীরী যুব সম্প্রদায়ের একাংশকে দলে টানতে শুরু করেছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেনাপ্রধান।

জেনারেল রাওয়ত বলেছেন, ‘‘ওরা (বিচ্ছিন্নতাবাদীরা) আবার রিক্রুট (নিয়োগ) করতে শুরু করেছে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এই সব করে কিছুই হবে না। এই সব দিয়ে কোনও লক্ষ্যেই পৌঁছনো যাবে না। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কত জন জঙ্গির মৃত্যু হল, সেই সংখ্যাটা নিয়ে ভাবি না। কারণ, জানি, এটা চলতেই থাকবে। আর সেই সংখ্যাটা বাড়বে উত্তরোত্তর।’’

তবে জঙ্গি বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপত্যকা থেকে নির্মূল করতে সেনাবাহিনী যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে না, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জেনারেল রাওয়ত।

তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে সেটা সেনাবাহিনী উপভোগ করে না। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যদি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে চায়, তা হলে নিরাপত্তা বাহিনীও লড়বে। কাশ্মীরের মানুষকে এটা মনে রাখতে হবে, সিরিয়া বা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মতো কাশ্মীরে কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী নৃশংস ভূমিকা নেয়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হঠাতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা মাথায় রেখেছে। সিরিয়া, পাকিস্তানে ট্যাঙ্ক, বিমান হানাদারি হচ্ছে। তাতে সাধারণ নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন। কাশ্মীরে সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনী তা করছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE