বুধবার দিল্লিতে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। ছবি: পিটিআই।
শুধু পাকিস্তান নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। উত্তর-পূর্বের চিন সীমান্তকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে সেখানে। জানিয়ে দিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে।
মঙ্গলবারই সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মনোজ মুকুন্দ নরবণে। বুধবার দিল্লিতে ‘গার্ড অব অনার’-এ সম্মানিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিন সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘এত দিন পশ্চিম সীমান্তকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছি আমরা। উত্তর সীমান্তের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্তেও সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিনের সঙ্গে বিরোধ ভারতের। গত কয়েক বছরে একাধিক বার লাদাখ ও অরুণাচলে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছে চিনা বাহিনী। ডোকলামে চিনের রাস্তা তৈরি আটকাতেও কম বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। ২০১৭-য় সেই নিয়ে বিরোধ চরমে উঠলে একটানা ১০ সপ্তাহ মুখোমুখি অবস্থান করে দুই দেশের সেনা।
দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের নেতৃত্বে থাকায় দুই দেশের টানাপড়েন সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নরবণে। ডোকালাম নিয়ে অতীতে চিনকে ‘গুন্ডা’ বলে কটাক্ষও করেন তিনি। তবে সেনাপ্রধান হিসাবে দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই জোর দিয়েছেন নরবণে। তিনি বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) রয়েছে আমাদের। তাই সীমান্ত বিরোধের একটা নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। তবে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অনেকটাই উন্নতি করেছি আমরা। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখলেই বিরোধের স্থায়ী সুরাহা হবে বলে নিশ্চিত আমি।’’
ডোকালামের পর ২০১৮-র এপ্রিলে উহান সম্মেলনে মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy