বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার।—ফাইল চিত্র।
‘হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ’! জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার হওয়া ইস্তক পাকিস্তানের ‘মরিয়া’ আচরণকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করল সাউথ ব্লক।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য দু’টি। প্রথমত, কাশ্মীরকে অশান্ত দেখিয়ে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি করা, যাতে আন্তর্জাতিক নজর ঘোরানো যায়। দ্বিতীয়ত, কাশ্মীরে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে দিল্লির চেষ্টায় জল ঢেলে দেওয়া। ভারতের অভিযোগ, এই অভিসন্ধি নিয়েই টুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীরা। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে রেলমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী— গরমাগরম টুইট করে চলেছেন সকলেই। আজও পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল বলেছেন, ‘‘কাশ্মীর আমাদের বিদেশনীতির ভরকেন্দ্র।’’
‘পাক মানসিকতা’র নিন্দা করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বলেন, ‘‘ভারতে জেহাদ ও হিংসা ছড়ানোর ডাক দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাস পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতি। তারা স্বাভাবিক প্রতিবেশীর মতো আচরণ করুক, বাণিজ্য নিয়ে কথা বলুক। জঙ্গি লেলিয়ে দেওয়াটা স্বাভাবিক নয়।’’ রবীশ এ-ও জানান, পাক আকাশসীমা বন্ধ করার কোনও খবর নেই। সাময়িক ভাবে কিছু সেক্টর বন্ধ হয়েছিল।
তবে দিল্লির জন্য আজ কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতর বলেছে, ‘‘কাশ্মীরে স্থানীয়দের আটক হওয়া ও কড়াকড়ির খবরে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। মানবাধিকারকে সম্মান করে, আইনানুগ পদক্ষেপ করে, সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসা হোক।’’ সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বানও রয়েছে বিবৃতিতে। দিল্লির মতে, পাকিস্তানের উদ্দেশেই এই মন্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy