Advertisement
E-Paper

সবেতেই প্রথম আইআইএস, ফল মন্দ নয় রাজ্যের

গত কাল গোটা দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রমতালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই তালিকায় সার্বিক ভাবে প্রথম হয় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএস)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পড়ার শেষে চাকরির বাজারে বেতন বেশি পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জাতীয় ক্রমতালিকা বলছে, খুব পিছিয়ে নেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। তবে উচ্চশিক্ষার প্রশ্নে, উচ্চমানের গবেষণাপত্র প্রকাশের নিরিখে অবশ্য তালিকার শুরুর দিকে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

গত কাল গোটা দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রমতালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই তালিকায় সার্বিক ভাবে প্রথম হয় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএস)। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে ১৩ ও ২১তম স্থান পায়।

বিস্তারিত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে বেঙ্গালুরুর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম পাশ করে শুরুতে বার্ষিক ১২ লক্ষ ও স্নাতকোত্তর স্তরে শুরুতে বার্ষিক ১৬ লক্ষ টাকার চাকরি পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। দিল্লির জেএনইউ-এর ক্ষেত্রে স্নাতক স্তর পাশ করলে বছরে ৪.২ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি শুরু করছেন পড়ুয়ারা। তুলনায় যাদবপুর ও দুর্গাপুর এনআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা শুরুতে বেতন পাচ্ছেন বছরে ৫.৭০ লক্ষ ও ৪.৮ লক্ষ।

প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। সমীক্ষা বলছে, তিন বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম শেষ করে বছরে সাধারণ ভাবে ৬.৬ লক্ষ টাকার চাকরিও পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কোনও পড়ুয়া। আবার বছরে ৭.২ লক্ষ টাকার চাকরি পেয়েছেন স্নাতকোত্তর পাশ করে।

এ তো গেল বেতন। পিএইচডি করা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে দেশের এক নম্বর আইআইএস বেঙ্গালুরুর সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়েছে যাদবপুর। আইআইএসে যেখানে ২৬৮১ জন পূর্ণ সময়ের গবেষক রয়েছেন, সেখানে যাদবপুরে রয়েছেন ২৬১৩ জন। তুলনায় অনেক পিছিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে গবেষণা করছেন মাত্র ৩৮৭ জন। উচ্চমানের গবেষণাপত্র প্রকাশের (২০১৪-’১৭) প্রশ্নে অনেক এগিয়ে আইআইএস। তাদের যেখানে ২৫৮৪টি উচ্চমানের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি হল ১৩৯৭ ও ৮৭৩।
আর জেএনইউ-এর ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৬৬৮।

সমীক্ষায় কোনও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ছাত্রছাত্রী, চাকুরিদাতা সংস্থা, বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থার প্রধান, পেশাদার ব্যক্তিত্বরা কী ভাবেন তার জন্যও একটি নম্বর রেখেছিলেন সমীক্ষকেরা। তাতে যাদবপুর পেয়েছে ১৩৬। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৮৯। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৭৪। জেএনইউ-এর নম্বর কিন্তু সেখানে ২০৬। আইআইটি খড়্গপুর ৩৪৮। আরও এক বার সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে আইআইএস বেঙ্গালুরু। তাদের প্রাপ্ত নম্বর, ১০১৩।

Khabo IIS College Education আইআইএস Bengaluru
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy