ফাইল চিত্র।
ভয়ের কথাটি কয়েক দিন ধরেই নানা ভাবে শোনাচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা। সেই ভয়টিই আরও জাঁকিয়ে বসল রাহুল গাঁধীর চালে। প্রিয়ঙ্কা বঢরাকে রাজনীতিতে এনে সোজা মোদী-যোগীর গড়ে পাঠিয়ে দেওয়ায়।
অমেঠীতে এক গাল হেসে রাহুল বললেন, ‘‘বিজেপি একটু ভয় পেয়েছে। আমরা কোনও ভাবেই ব্যাকফুটে খেলব না। গুজরাতেও খেলিনি, উত্তরপ্রদেশেও নয়।’’
খুব একটা ভুল বললেনি রাহুল। খোদ প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, আজ প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় নেমেছেন তাঁর মন্ত্রীরাও।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভিডিয়ো মারফত কথা বলছিলেন মোদী। নিজেই তুললেন শরদ পওয়ারের প্রসঙ্গ। টেনে আনলেন গাঁধী পরিবারের কথা। কী ভাবে কংগ্রেসের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন বলে পওয়ারকে কংগ্রেস ছাড়তে হল। প্রিয়ঙ্কার নাম নিলেন না বটে, কিন্তু তাঁর অভিষেক যে ছাপ ফেলেছে, তা বুঝিয়ে দিলেন। মোদী বলেন, ‘‘আমাদের দলের সিদ্ধান্ত কোনও এক ব্যক্তি বা এক পরিবার কী চায়, তার ভিত্তিতে হয় না। এই কারণেই বলা হয়, দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলে ‘পরিবারই দল’। আর বিজেপিতে ‘দলই পরিবার’।’’
মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে এসেছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর আবার খোঁচা, ‘‘প্রিয়ঙ্কার মতো এত বড় ব্যক্তিত্বকে শুধু উত্তরপ্রদেশের ছোট প্রান্তের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? আরও বড় দায়িত্ব দিতে পারতেন!’’ আর স্মৃতি ইরানির মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করল, রাহুল গাঁধী ব্যর্থ।’’
জবাবে কংগ্রেসের রাজীব শুক্লের কটাক্ষ, ‘‘প্রিয়ঙ্কা আসার ঘোষণাতেই যদি এতটা ভয় পায় বিজেপি, তিনি কাজ করা শুরু করলে কী হবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy