দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে যানজট। ছবি: পিটিআই
আনলক-১ এর কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় আন্তঃরাজ্য যানবাহন চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একাধিক রাজ্যে এখনও সীমান্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে এক সপ্তাহের সময়সীমা দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিট্যাল রিজিয়ন বা এনসিআর এলাকার জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে একই রকম একটি নীতি তৈরির নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শৃঙ্খল আটকাতে চার দফায় দু’মাসেরও বেশি লকডাউন ছিল গোটা দেশে। তার পর গত ১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আনলক-১। অর্থাৎ ধাপে ধাপে এ বার যানবাহন-সহ যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর উদ্যোগ শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এই আনলক-১ এর নির্দেশিকাতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যবাহী যানবাহনও এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।
কিন্তু গত সোমবার থেকে দিল্লির রাজ্য সরকার এক সপ্তাহের জন্য সীমান্ত সিল করে দিয়েছে। আবার কেন্দ্রের নির্দেশিকার পরেই গুরুগ্রাম-দিল্লি সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা রাজ্য সরকার। দিল্লির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশেরও সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার আবার সমস্ত সীমান্ত সিল করে রেখেছে এখনও। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সীমান্ত খোলা হবে না বলে রাজ্যের তরফে জাননো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড সমস্যা তৈরি হয়েছে। অন্য কোনও রাজ্য থেকে দিল্লিগামী যানবাহন আটকে যাচ্ছে দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে। আবার দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে অন্য রাজ্যেও কোনও যানবাহন যেতে পারছে না। ফলে দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণে ফের নয়া নজির! ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৯৩০৪ জন, মৃত্যু বেড়ে ৬০৭৫
আরও পড়ুন: পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত, শোকের ছায়া চলচ্চিত্র দুনিয়ায়
এই নিয়েই একটি মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, তিন রাজ্য এবং কেন্দ্রকে একসঙ্গে বসে যানবাহন চলাচলের জন্য একটি সাধারণ নীতি তৈরি করতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই কাজ সেরে ফেলার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy